What can cause cancer due to mobile phones?

mobile-phone-cancer
Mobile phone causes cancer

যতটুকু আমরা জানি, মোবাইল ফোন রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ওয়েভের ভিত্তিতে কাজ করে যা স্বল্প ক্ষমতার বিকিরণ ব্যবহার করে। এক্সরে, আলট্রা ভায়োলেট বা গামা বিকিরণে যা ব্যবহৃত হয়, এটি তারচেয়ে অনেক কম ক্ষমতার। তবে এটিও মানব শরীরে কতটা প্রভাব ফেলে, তা এখনো পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। আমাদের চারপাশে এরকম অসংখ্য বিকিরণ ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেমন এফএম বেতারের তরঙ্গ, মাইক্রোওয়েভ আর বাতির বিকিরণ। তাই বর্তমান বিশ্বে মোবাইল ফোনের সহজলভ্যতার সাথে পাল্লা দিয়ে এর রেডিয়েশন নিয়ে দুশ্চিন্তাও বাড়ছে। অনেকেই বলছেন “বেশি সময় ফোন কানে নিয়ে কথা বললে মস্তিষ্কে ক্যান্সার হতে পারে… পকেটে মোবাইল ফোন রাখলে রেডিয়েশন থেকে শারীরিক ক্ষতিসাধন হতে পারে” তবে আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির ওয়েবসাইটে বলা হচ্ছে, মোবাইল ফোন হয়তো ব্রেন টিউমার বা মাথা বা গলার টিউমারের ঝুঁকি অনেকটা বাড়িয়ে দিতে পারে।


কিন্তু এ ব্যাপারে বিজ্ঞান কী বলছে? এমন কোনো গবেষণা কি আছে যা দ্বারা প্রমাণ হয় মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন থেকে মানুষের ক্যান্সার হতে পারে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজব এই পোস্টে।


মোবাইল ফোন থেকে বিকিরণ

(এসএআর-এর মাত্রা অনুযায়ী)*

১.৬৮
ওয়ানপ্লাস ফাইভ-টি
১.৬৪
হুয়াওয়ে মেট নাইন
  • ১.৫১ নকিয়া লুমিয়া ৬৩০
  • ১.৪৮ হুয়াওয়ে পি নাইন প্লাস
  • ১.৪৪ হুয়াওয়ে জিএক্স এইট
  • ১.৪১ হুয়াওয়ে নোভা প্লাস


রেডিয়েশন! রেডিয়েশন!!

আচ্ছা, একটা কথা বলুন তো, আমরা কেনই বা মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন নিয়ে এতটা দুশ্চিন্তায় আছি? এর কারণ হচ্ছে, রেডিয়েশন শব্দটার মাঝেই আমরা একধরনের ভয় পাই, যে এই অদৃশ্য শক্তির নিশ্চয়ই অনেক ক্ষমতা! বিশেষ করে জাপানের হিরোশিমা আর নাগাসাকিতে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক পারমাণবিক হামলায় রেডিয়েশনে মানুষের ক্ষতির কথা জানার পর থেকে রেডিয়েশন শব্দটাই আমাদের কাছে একটা নেতিবাচক অর্থ দাঁড়া করাচ্ছে। 
mobile-phone-cancer

 তাহলে মোবাইল ফোনের তরঙ্গ থেকে মানুষের কি ক্যান্সার হতে পারে? সত্যি কথা বলতে গত কয়েক বছর ধরেই বিজ্ঞানীরা এই প্রশ্নের উত্তর পেতে চেষ্টা করছেন। তবে এখন এ সংক্রান্ত সকল প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর পাওয়া এখনো যায়নি।


গবেষণা কী বলছে?

গত বছর প্রকাশিত আমেরিকান সরকারের একটি গবেষণায় কতগুলো ইঁদুরের উপর খুবই উচ্চমাত্রার সেলফোন রেডিয়েশন প্রয়োগ করা হলে দেখা যায় কিছু পুরুষ ইঁদুরের হৃদপিণ্ডে এক ধরনের টিউমার সৃষ্টি হয়েছে। কিছু পুরুষ ইঁদুরের ব্রেইনেও টিউমার ধরা পড়ে। অবশ্য, স্ত্রীজাতীয় ইঁদুরে এই সমস্যা দেখা যায়নি। এর সাাথে যোগসূত্র থাকার ব্যাপারে একটি প্রেস রিলিজও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এনভায়রোমেন্টাল হেলথ সায়েন্সেস।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি সরকারি সংস্থা এফডিএ এ ব্যাপারে বলছে, বর্তমানের সেফটি লিমিট অনুযায়ী সেলফোন থেকে বিকিরিত রেডিওফ্রিকোয়েন্সি এনার্জি (বেতারতরঙ্গ শক্তি) মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ বলে এফডিএ বিশ্বাস করে।

যদিও এসব ব্যাপারে এখনও গবেষণা চলছে।

সেলফোনগুলো থেকে অবশ্যই পরিবেশে রেডিয়েশন হচ্ছে। কিন্তু তার মানে এই না যে এটা একটা পারমাণবিক বোমা থেকে বা এক্সরে মেশিন থেকে প্রাপ্ত রেডিয়েশনের মতো শক্তিশালী!


মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন কি ক্ষতিকর?

রেডিয়েশন বিভিন্ন রকম হতে পারে। অ্যামেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সেলফোনের রেডিয়েশন হচ্ছে রেডিওফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়েশন যা মানুষের দেহকোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে টিউমার সৃষ্টি করার মতো যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। এগুলোকে বলে ‘নন-আয়োনাইজিং’ রেডিয়েশন বলে, যা কোষে ডিএনএ এর রাসায়নিক বন্ধন ভেঙে ক্যান্সার তৈরি করতে সক্ষম নয়। এ ধরণের আরও কিছু ‘নন-আয়োনাইজিং’ রেডিয়েশন হচ্ছে এফএম রেডিওর তরঙ্গ, মাইক্রোওয়েভ এবং দৃশ্যমান আলো। 

mobile-phone-cancer

 অ্যামেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি আরও বলছে, অনেক বেশি মাত্রায় মোবাইল ফোনের তরঙ্গ যদি মানবদেহের সংস্পর্শে আসে, তাহলে এটি শরীরের কোষের উষ্ণতা বাড়িয়ে দিতে পারে (মাইক্রোওয়েভ ওভেন যেভাবে কাজ করে আরকি)। সেইসাথে সাইটটি এটাও বলছে,

মোবাইল ফোন থেকে বিকিরিত তরঙ্গের শক্তি এতটাই কম, যে তা মানুষের কোষের উষ্ণতা বৃদ্ধি করার জন্য যথেষ্ট না

যদি… কিন্তু… তাই…

অবশ্য সবকিছুর পরেও সেলফোন রেডিয়েশনকে ক্ষতিকর মনে করার জন্য অনেক তথ্য উপাত্ত হয়ত আপনি পাবেন, যেহেতু বিজ্ঞানীরাও এখনো সম্পুর্ন পরিষ্কার নন বিষয়টি নিয়ে। শত শত গবেষণা হয়েছে, কিন্তু সরাসরি সেলফোন রেডিয়েশনকে মানুষের জন্য ক্যান্সারের কারণ বলে কেউ ১০০% প্রমাণ করতে পারেনি। তবে বিজ্ঞানীরা বরাবরই এর ঝুঁকির ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন

দিনে দিনে নেটওয়ার্কে পরিবর্তন আসছে। ইঁদুরের ওপর পরিচালিত উপরোক্ত গবেষণা ২জি, ৩জি নেটওয়ার্কের ফ্রিকোয়েন্সি দিয়ে করা হয়েছে। এখন ৪জি ও ৫জি এর যুগ। তাই সময়ের সাথে মোবাইল ফোনের বিকিরণ মানবদেহে কেমন প্রভাব ফেলে সে ব্যাপারে উপসংহার টানার সময় এখনও হয়নি।

তবে যেহেতু বিজ্ঞানীরা আগাম সতর্কতা হিসেবে মোবাইল ফোনের তরঙ্গ থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন, তাই আমাদের অবশ্যই যতটা সম্ভব মোবাইল ব্যবহার কমানো উচিত। সেই সাথে মোবাইল ফোন এর অতিরিক্ত ব্যবহার যেন আমাদের যান্ত্রিক না করে দেয় সেদিকে খেয়াল রাখাটাও অনেক দরকার।





Related Posts:

  • মোবাইল ফোনের কারণে কি ক্যান্সার হতে পারে? -Bangla Tech  What can cause cancer due to mobile phones? Mobile phone causes cancer যতটুকু আমরা জানি, মোবাইল ফোন রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ওয়েভের ভিত্তিতে কাজ করে যা স্বল্প ক্ষমতার বিকিরণ ব্যবহার করে। এক্সরে, আলট্রা ভায়োলেট ব… Read More
  • শেয়ারইটের বিকল্প অ্যাপ কোনগুলো? শেয়ারইট বাংলাদেশের অধিকাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীই সীমিত মোবাইল ডেটা ব্যবহার করায় ফাইল আদান-প্রদানে অ্যাপভিত্তিক শেয়ারিং পছন্দ করেন। ফাইল শেয়ারিংয়ে ব্লুটুথ এর ব্যবহার দীর্ঘদিন আগেই সেকেলে হয়ে গেছে। ওয়াইফাই ভিত্তিক ফাইল… Read More
  • The Kinemaster Engine Failed to Initialize Problem Fix। খুব সহজে সমাধান করুন আমরা যার কাইনমাস্টার ইউস করি তাদের কিছুদিন যাবত একটি সমস্যায় ভোগতেছি!চলুন আজকে দেখি কিভাতে তার সমাধান করা যায়-প্রথমে আপনার সমস্যা ওয়ালা এপ্সটি আনইনস্টল করুন।তার পর এই  লিংক  এ কিল্ক করুন এবং এপস্ টি ডাউনলোড কর… Read More
  • How to check own SIM Number Teletalk, GP, Banglalion,Robi, Airtel To Check own/My Number on other operators: Airtel Bangladesh (016) Dial *121*6*3# Grameenphone (017) Dial *2# BanglaLink (019) Dial *511# Teletalk (015) Dial *551#   Robi  (018) Dial *2#  … Read More

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thanks for your comment

Popular Posts

Blog Archive