খুব শীঘ্রই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটে ডিজিটাল স্বাক্ষর যুক্ত হচ্ছে।


ডিজিটাল স্বাক্ষরের ফলে সেবা গ্রহীতা নিম্নোক্ত সুবিধাদি পাবেন:
১। আবেদনকারী দ্রুততম সময়ের মধ্যে ম্যানুয়াল স্বাক্ষরের পরিবর্তে ডিজিটাল স্বাক্ষরিত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাবেন।


২। বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে QR কোডের মাধ্যমে এই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের মূল System হতে Authentication / Verification সম্ভব হবে। ফলে, জাল সার্টিফিকেট ইস্যু হওয়ার সুযোগ থাকবে না।

৩। ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরে ডিজিটাল স্বাক্ষরকৃত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের ডিজিটাল কপি সরাসরি সেবাগ্রহীতার ইউজার একাউন্টে চলে যাবে। আবেদনকারীকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সংগ্রহের জন্য কোথাও যেতে হবে না। তিনি নিজের ড্যাশবোর্ড থেকে PDF ডাউনলোড/ প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। অধিকন্ত, এই ডিজিটাল স্বাক্ষর যুক্ত সার্টিফিকেট সরাসরি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা যাবে।
আশা করা হচ্ছে এ বছরের নতুন আইফোন দারুণ কিছু চমক নিয়ে আসবে এবং এর ডিজাইনেও আসবে ব্যাপক পরিবর্তন। অ্যাপলের নতুন একটি পেটেন্ট এর তথ্য প্রকাশ হওয়ার পর এই প্রত্যাশা আরও বেড়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি অ্যাপলের পাওয়া নতুন একটি পেটেন্টে ভাঁজ করা মোবাইল ফোনের ধারণা দেখা গেছে, অর্থাৎ অ্যাপল তাতে ফোল্ডিং আইফোন তৈরি করার কনসেপ্ট দেখিয়েছে।

পেটেন্ট এর তথ্য অনুযায়ী ফোল্ডেবল আইফোন যদি আসলেই তৈরি হয় তাহলে সেটার ভাঁজ করা অংশ প্লাস্টিকের পরিবর্তে কাঁচের হবে।
পেটেন্ট এ দেয়া নকশায় দেখা যাচ্ছে স্ক্রিন কীভাবে ভাঁজ করে রাখা যাবে যাতে ডিসপ্লের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা যায়।
এই কনসেপ্ট ফোল্ডেবল আইফোনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হবে এর গ্লাস ডিসপ্লে এবং ভেতরকার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।


আশা করা যায় এটি এখন প্রাথমিক পর্যায়ে আছে, ফলে ২০২০ সালে হয়তো এর দেখা মিলবে না।
তাই আপনি যদি ফোল্ডেবল আইফোন ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে কমপক্ষে ২০২১ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

 আমরা যার কাইনমাস্টার ইউস করি তাদের কিছুদিন যাবত একটি সমস্যায় ভোগতেছি!

The Kinemaster Engine Failed to Initialize Problem Fix


চলুন আজকে দেখি কিভাতে তার সমাধান করা যায়-
প্রথমে আপনার সমস্যা ওয়ালা এপ্সটি আনইনস্টল করুন।
তার পর এই  লিংক  এ কিল্ক করুন এবং এপস্ টি ডাউনলোড করুন।
এবং ইনস্টল করুন 
আশা করি আপনার সমস্যা সমাধান হয়েছে ।
না ‍বুঝলে নিচের ভিডিওটি দেখুন ধন্যবাদ।



Download Registered IDM Full Version | 2020 | Life Time | 24banglatech


How to delete windows old file after update windows 2020

Follow blow video





whatsapp-dark-mode-beta-feature
 ডার্ক মোড ফিচার এলো হোয়াটসঅ্যাপ এর জন্য

বিভিন্ন রংয়ের বদলে যারা কালো ব্যাকগ্রাউন্ডে সাদা টেক্সট দেখতে পছন্দ করেন, তাদের চোখে যেকোনো অ্যাপ এ ডার্ক মোড একটি আশীর্বাদস্বরুপ।

আজকাল কমবেশি সব অ্যাপ ডেভলপার কোম্পানিগুলোই তাদের অ্যাপে ডার্ক মোড ফিচারটি যুক্ত করছে। এরই সাথে তাল মিলিয়ে তাদের জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ, হোয়াটসঅ্যাপ এ ডার্ক মোড ফিচারটি যুক্ত করল ফেসবুক।

হোয়াটসঅ্যাপ এ ডার্ক মোড ফিচারটি এখন শুধুমাত্র বেটা ভার্সন ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করতে পারবেন। বেটা ভার্সনের জন্য সাইন আপ প্রসেস ও বর্তমানে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

সেক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ এ ডার্ক মোড ব্যবহার করতে থার্ড পার্টি এপ স্টোর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ এর যথাযথ ভার্সনটি ইন্সটল করতে হবে। আপনি চাইলে APKMirror থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।

হোয়াটসঅ্যাপ এ যেভাবে ডার্ক মোড অন করবেন –

  • হোয়াটসঅ্যাপ এ ডানদিকের টপ কর্নারে থাকা থ্রি ডট মেন্যুতে প্রবেশ করুন।

  • Settings এ প্রবেশ করুন।

  • Chats মেন্যুতে প্রবেশ করুন। 

  • সেখানে Theme মেন্যুতে এ Lite এবং Dark মোড নামে দুইটি অপশন পাবেন।

  • ডার্ক মোড চালু করতে Dark Mode অপশনটি সিলেক্ট করুন।


whatsapp-dark-mode-beta-feature
whatsapp-dark-mode-beta-feature

অতি শীঘ্রই এই ফিচারটি সকল ব্যবহারকারীর জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে  হোয়াটসঅ্যাপ ।

 

অনেকেই দুর্ঘটনা বা অসচেতনতার দরুন জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু জানেন না কীভাবে আবার তা তুলতে হবে। এনিয়ে অনেকে দুশ্চিন্তা করেন।

আসুন এবার জেনে নেয়া যাক, কীভাবে আপনি হারিয়ে যাওয়া জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড তুলবেন।

 
lost-my-nid-card-bd
Lost my nid card bd

১. যারা কাগজে লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে ফেলেছেন:

• যারা কাগজে লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে ফেলেছেন তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে।

• তারপর সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি (জরুরি ফি ভ্যাটসহ ৩৪৫ টাকা) জমা দিয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে জিডির কপি ও টাকার রশিদ জমা দিতে হবে।

• তারপর স্মার্টকার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে হবে।

২. নিবন্ধন স্লিপ হারিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে:

যাদের ভোটার নিবন্ধনের সময় প্রদান করা নিবন্ধন স্লিপ হারিয়ে গেছে, তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি রেজিস্ট্রারে ভোটারের নাম, পরিচয়পত্র নম্বর ও ভোটারের স্বাক্ষর নিয়ে স্মার্টকার্ড দেয়া হয়। এক্ষেত্রে কোনো জিডি করতে হবে না।

৩. জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি কিন্তু স্লিপ আছে:

যেসব ব্যক্তি জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি কিন্তু নিবন্ধন স্লিপ আছে। তাদের মূল নিবন্ধন স্লিপসহ স্মার্টকার্ড বিতরণের নির্ধারিত কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে হবে।

 

pc-speed-tips
pc-speed-tips

যেকোনো ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র কিছুদিন ব্যবহার করার পরেই তার গতি কমতে শুরু করে। কম্পিউটারও তার ব্যতিক্রম নয়। একটি নতুন কম্পিউটার প্রথম দিকে যে দ্রুত গতিতে কাজ করে সময়ের সাথে সাথে তার সেই গতি অনেকখানি কমে যায়। এই গতি কমার পিছনে অনেক কারন আছে। কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া তার অন্যতম ও প্রায় প্রধান কারন।

তবে একেবারেই ছোট ও সামান্য কিছু কারন আছে যেগুলো আমরা অনায়াসেই আমাদের কাজের মধ্যে একটু অভ্যাস করে করতে পারলে কম্পিউটারের গতি কমে যাওয়া অনেকখানি রোধ করতে পারি।

কম্পিউটার এর গতি ধীর হয়ে যাওয়া সবার কাছেই খুব বিরক্তিকর একটা ব্যাপার। সেটা অফিসেই হোক আর বাসায় নিজের ব্যক্তিগত কাজের সময়েই হোক। প্রথমত এটা এক ধরনের মানসিক অশান্তি তৈরি করে এছাড়া কাজটি করার জন্য যে পরিমাণ সময় লাগার কথা তার থেকেও অনেক বেশি সময় লাগছে।

বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করে অনায়াসেই আমরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। তবে সবসময় আসলে যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করা সম্ভব হয়না। কারন এর জন্য নতুন করে টাকা পয়সা খরচ করতে হয়।

আবার অনেক সময় টাকা থাকলেও যন্ত্র পাতি কেনার ও লাগানোর সময় পাওয়া যায়না। তাই যন্ত্রাংশ পরিবর্তন না করেও একেবারেই স্বাভাবিক কিছু কাজের মাধ্যমে কিভাবে কম্পিউটারের গতি ঠিক রাখা যায় সেটা নিয়ে আলাপ করবো।

১. কম্পিউটার ভাইরাস মুক্ত রাখা

আমরা সবাই জানি যেকোনো ধরনের ভাইরাস এর আক্রমনের ফলে কম্পিউটারের গতি কমে যেতে পারে তাই সবসময় চেষ্টা করা উচিত কম্পিউটার টি ভাইরাস মুক্ত রাখা। তবে অনেক চেষ্টার পরেও কম্পিউটারকে সবসময় ভাইরাস মুক্ত রাখা সম্ভব হয়না। কারন আমাদের অনেক সময় বিভিন্ন রকম ফাইল দেয়া নেয়া করতে হয় যার কারনে অন্যের পেন ড্রাইভ ব্যবহার করতে হয়।

এছাড়া আমাদের সবার কম্পিউটারেই এখন ইন্টারনেট সংযোগ আছে। এই দুটি মাধ্যম থেকেই সাধারণত সব থেকে বেশি ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বর্তমানে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে অনেক ভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহারকারীর অজান্তেই ডাউনলোড হয়ে যায়। তাই ভাইরাস থেকে বাচতে হলে আলাদা কিছু সতর্কতা নিতে হয়। যদিও Windows অপারেটিং সিস্টেমের Windows Defender অনেক ভাল কাজ করে তারপরেও বাড়তি সতর্কতা হিসেবে একটা থার্ড পার্টি ফ্রি এন্টিভাইরাস ব্যবহার করতে হবে এবং কোন পেন ড্রাইভ অথবা অন্য কোন মাধ্যমে ফাইল আদান প্রদান করার আগে ফাইল গুলো অবশ্যই স্ক্যান করে নিতে হবে।

আবার অন্যের পেন ড্রাইভ থেকে ফাইল নিলে সেটা সরাসরি ওপেন না করে ফোল্ডার থেকে ওপেন করা ভাল। কারন সরাসরি ওপেন করলে ফাইল এ ভাইরাস থাকলে সেটা খুব দ্রুত কম্পিউটার কে আক্রমণ করতে পারে।

২. Browsing history ও Cookies পরিষ্কার করা

বর্তমানে আমরা আগের তুলনায় অনেক বেশি ইন্টারনেট ব্রাউজিং করে থাকি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে পত্রিকা পড়া, ইন্টারনেটে কোন তথ্য অথবা ঠিকানা খুঁজে বের করা সহ অনেক রকমের কাজ করে থাকি। এই সমস্ত ব্রাউজিং এর তথ্য সব ব্রাউজারে জমা হয়ে থাকে। এর ফলে যেমন ব্যবহারকারীর লাভ আছে তেমনি আবার বিভিন্ন রকম বিজ্ঞাপন দানকারী প্রতিষ্ঠান যেমন ফেসবুক, গুগোল, অ্যামাজন এর মত টেক জায়ান্ট দের লাভ হয়।

এই সমস্ত হিস্টরি ব্রাউজারে জমা থাকার ফলে ব্যবহারকারী যদি একই রকম তথ্য পুনরায় খুঁজতে যান তাহলে সেটা সে অনেক সহজেই খুঁজে পায়। এছাড়া ব্রাউজার ও ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীর তথ্য জমা থাকার ফলে বিজ্ঞাপন প্রদানকারি প্রতিষ্ঠান গুলো খুব সহজে তাদের পণ্যের সম্ভাব্য ক্রেতাকে খুঁজে পায়।

তবে সমস্যা হচ্ছে অনেক বেশি পরিমান তথ্য যদি ব্রাউজারে জমা হয়ে থাকে তাহলে ব্রাউজার স্লো হয়ে যায়। তাই নিয়মিত ব্রাউজিং এর ইতিহাস ও কুকিজ পরিষ্কার করলে গতি কিছুটা হলেও বাড়বে।

৩. Temporary ফাইল মুছে ফেলা

টেম্পোরারি ফাইল হচ্ছে কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে তৈরি হওয়া কিছু জাংক ফাইল। অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটার ব্যবহারকারীর অজান্তেই এই ফাইল গুলো কম্পিউটারে তৈরি করে থাকে। কম্পিউটারে যখনি কোন ফাইল ওপেন করা হয় কম্পিউটার প্রোগ্রাম তার একটি জাংক ফাইল তৈরি করে ফেলে এভাবে দিনে যতগুলো ফাইল ওপেন করা হয় কম্পিউটারে ততগুলো জাংক ফাইল তৈরি হয়ে থাকে। এই ফাইলের পরিমান বেশি হয়ে গেলেই কম্পিউটারের স্বাভাবিক গতি কমে যায়। তাই নিয়মিত এইগুলো পরিষ্কার করা উচিত।

এই কাজটি আপনি নিজে ম্যানুয়ালি করতে পারবেন আবার কোড দিয়েও করা যায়। আপনি যদি Windows 7 ব্যবহার করে থাকেন তাহলে স্টার্ট মেনু থেকে Run কমান্ডে যেয়ে %temp% লিখে ইন্টার চাপলে সমস্ত টেম্পোরারি ফাইল গুলো চলে আসবে। আপনি অনায়াসেই ফাইল গুলো মুছে দিতে পারবেন।

Windows8  ও 8.1 অপারেটিং সিস্টেমেও আপনাকে Run কমান্ড থেকে %temp% টাইপ করলে জাংক ফাইল গুলো চলে আসবে। আর Windows 10 অপারেটিং সিস্টেমের Cortana সার্চ বক্সে %temp% লিখে সার্চ দিলে চলে আসবে।

৪. Recycle Bin পরিষ্কার রাখা

সম্ভবত আমাদের কম্পিউটারের সব থেকে অবহেলিত অংশ হচ্ছে Recycle bin. কারন এটা হচ্ছে কম্পিউটারের ডাস্টবিন। আর আমরা এটাকে ডাস্টবিনের মতই ব্যবহার করে থাকি আমাদের কম্পিউটারের যেকোনো অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে দিলে সেটা Recycle bin এ গিয়ে জমা হয়ে থাকে। বাসাতে জমে থাকা ময়লা যেমন অনেক দিন ধরে পরিষ্কার না করলে সেটা থেকে দুর্গন্ধ তৈরি হয়।

Recycle bin এ জমে থাকে ফাইল ও সেরকম দীর্ঘ দিন পরিষ্কার না করলে তার ফলে কম্পিউটার ধীর হয়ে যেতে পারে। কেননা Recycle bin এ জমে থাকা ফাইল গুলো হার্ড ড্রাইভ এর জায়গা দখল করে রাখে।

৫. অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার Uninstall করে ফেলা

উপরের সব গুলোর থেকে এইটা হচ্ছে সব থেকে কার্যকর উপায় কম্পিউটারের গতি ঠিক রাখার জন্য। আমরা অনেক সময় ছোট খাটো কোন কাজের জন্য টেম্পোরারি ভাবে কোন সফটওয়্যার ইন্সটল করে থাকি যেগুলো পরে আর কোন কাজে আসেনা। এইভাবে কম্পিউটারে অনেক অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার জমা হয়ে যায়। এই অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার গুলো কম্পিউটারের অনেক জায়গা ও যন্ত্রাংশের কর্মশক্তি দখল করে রাখে যার ফলে কম্পিউটারের গতি কমে যেতে বাধ্য।

তাই আজই দেখুন আপনার কম্পিউটারে কোন অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আছে কিনা থাকলে সেগুলো Uninstall করে ফেলুন। দেখবেন কম্পিউটারের গতি কিছুটা হলেও বাড়বে।

আপনি অনেক রকম ভাবেই কম্পিউটারের গতি বাড়াতে পারবেন। তবে কোন টাকা পয়সা খরচ না করে শুধুমাত্র উপরের এই অভ্যাস গুলো ধরে রাখতে পারলে কম্পিউটারের গতি কমে যাওয়া থেকে বেশ কিছুটা রক্ষা পাবেন।

 
Fb-com
 নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম আনছে ফেসবুক

অকুলাস কিংবা অগুমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাস এর মত হার্ডওয়্যার এর জন্য ফেসবুককে গুগল এর এন্ড্রয়েড অপারেটিংস সিস্টেম এর উপর নির্ভর করতে হয়, যা ফেসবুক এর জন্য অবশ্যই কোনো সুখকর অভিজ্ঞতা নয়। দ্যা ইনফরমেশন এর তথ্যমতে, ফেসবুক সম্প্রতি উইন্ডোজ এনটি এর সহ-উদ্ভাবক, মার্ক লুকভস্কাই কে একটি সম্পূর্ণ নতুন অপারেটিং সিস্টেম তৈরির দায়িত্বভার দিয়েছে।

ফেসবুক এর হার্ডওয়্যার এর ভাইস প্রেসিডেন্ট, এন্ড্রু বসওর্থ বলেন, “আমরা এটি নিশ্চিত করতে চাই যে, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে যেনো আমরা যথাযোগ্য স্থান পাই। সেক্ষেত্রে আমরা অন্য প্রতিযোগীদের বিশ্বাস করতে পারছি না, তাই আমরা নিজেরাই কাজটি করতে চাই।”

আই ওএস (Eye OS)

নিজেদের অপারেটিং সিস্টেম তৈরির মাধ্যমে ফেসবুক সোস্যাল ইন্টারেকশন এবং গোপনীয়তা প্রদানের ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে পদক্ষেপ নিতে পারবে। ফেসবুক জানায় যে এই উদ্যোগ শুধুমাত্র এআর গ্লাস এর জন্য। এছাড়াও এর মাধ্যমে ফেসবুক আরও কিছু অধিগ্রহণ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে, যা তাদের প্রতিযোগীদের কাছে তাদের শক্তিশালী করে তুলবে। বিশেষত যদি ফেসবুক তাদের অগুমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাস ইনস্টাগ্রাম ব্র্যান্ডিং এ ব্যবহার করতে পারে।

নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম না থাকার জন্য ফেসবুক এর অনেক আগে থেকেই আক্ষেপ ছিল। ভক্স এর তথ্যমতে, ২০১৩ সালে ফেসবুক একটি গোপন প্রজেক্টে কাজ করছিল যা কোডনেম ছিল অক্সিজেন। এই প্রজেক্টটির কাজ ছিল প্রয়োজনে প্লে স্টোরের বাইরে এন্ড্রয়েড এপ ডিস্ট্রিবিউট এর ব্যবস্থা করা। এছাড়াও নিজেদের মোড়কে এইচটিসি এর সাথে পার্টনাশিপ করে ফেসবুক ফোন নামে এন্ড্রয়েড ফোন বাজারে ছেড়েছিল ফেসবুক। তবে এই পণ্যটি ফেসবুক এবং এইচটিসি এর ব্যর্থ প্রোডাক্টগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত হয়।

বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ

পূর্ববর্তী ভূলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর ফেসবুক। সে লক্ষ্যে নিজেদের হেডকোয়ার্টার থেকে ১৫ মাইল উত্তরে ৪০০০ কর্মচারী নিয়ে বার্লিনগেম এ ৭০হাজার স্কোয়ারফিট এর এআর/ভিআর টিম এর জন্য অফিস নির্মাণ করেছে ফেসবুক। 

এছাড়াও হার্ডওয়্যার জগতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে ৪.৫বিলয়ন ডলারের বিনিময়ে সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি সিরাস লজিক কে কিনে নেয় ফেসবুক, যা অ্যাপল এবং অন্যদের জন্য অডিও চিপ তৈরি করে। এসব উদ্যোগ এর মাধ্যমে পুনরায় বাজারে নিজেদের হারানো স্থান ফিরে পাবে বলে আশাবাদী ফেসবুক। 


play-store-tips-and-tricks

আমাদের এন্ড্রয়েড ডিভাইসে এপ কিংবা গেম করতে আমরা প্রতিদিনই গুগল প্লে স্টোর ব্যবহার করে থাকি। আপনার প্রতিদিনের এই কাজটিকে আরো মজাদার করে তুলতে আমরা খুঁজে বের বের করেছি কিছু মজার টিপস আর ট্রিকস।

ইন্ডি কর্নার

বড় কোম্পানি কিংবা টিম নয়, বরং ইন্ডি ডেভলপারদের তৈরি করা সেরা গেমসমূহকে প্লে স্টোরে আলাদা করে স্থান দেয়া হয়েছে। সবচেয়ে ইউনিক আইডিয়া আর গেমপ্লে সমৃদ্ধ এসব  গেমসমূহকে নিয়ে তৈরী করা হয়েছে ইন্ডি কর্নার।

ইন্ডি কর্নার ঘুরে আসুন

গেম ডাউনলোডের আগে ডেমো ট্রাই

প্লেস্টোরের কিছু কিছু গেম ডাউনলোডের আগে ডেমো মোড ট্রাই করার সুযোগ থাকছে। ফ্রি ফায়ার কিংবা ক্ল্যাশ রয়েল এর মত জনপ্রিয় গেমগুলোতেও দেখা মিলবে এই “ট্রাই নাও” নামে ফিচারটির।

ডেভলপার দ্বারা এপ সার্চ 

আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট ডেভলপারের তৈরী এপসমূহ খুজে থাকেন, তবে নিন্মোক্ত পদ্ধতিতে সার্চ করতে পারেন।

pub:”ডেভলপার এর নাম ” 

 

যেমন – pub:Google

প্যারেন্টাল কন্ট্রোলস

আজকালকার শিশু মাত্রই স্মার্টফোন আসক্ত। শিশুদের হাতে ফোন দেয়ার আগে আপনি চাইলেই প্যারেন্টাল কন্ট্রোলস ফিচারটি চালু করে প্লে স্টোরে শিশুর অভিজ্ঞতা নিরাপদ করতে পারেন।

প্যারেন্টাল কন্ট্রোলস চালু করতে প্লে স্টোরের মেনু থেকে সেটিংস এ প্রবেশ করুন। এরপর প্যারেন্টাল কন্ট্রোলস অপশনে প্রবেশ করে পছন্দসই সেটিংস সেট করে প্যারেন্টাল কন্ট্রোলস ফিচারটি চালু করতে পারবেন।      

উইশলিস্ট

ধরুন, প্লে স্টোরে আপনার কোনো একটি এপ বা গেম পছন্দ হয়েছে। কিন্তু ফোনে স্টোরেজ না থাকার কারণে সেটি এখন ডাউনলোড করতে পারছেন না কিংবা প্লে স্টোরে ব্যালেন্স না থাকায় সেটি কিনতে পারছেনা। সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে এপটিকে উইশলিস্টে এড করতে পারেন। পরে আবার সময়মত উইশলিস্ট থেকে আপনি আপনার পছন্দের এপ বা গেমটি খুজে নিতে পারবেন।

কোনো এপ বা গেম উইশলিস্টে এড করতে এপ বা গেম এর পাশে থাকা ত্রি-ডট মেনু থেকে “এড টু উইশলিস্ট” অপশনে চাপ দিলেই হবে। প্লে স্টোরের মেনু থেকেই যেকোনো সময় ইউশলিস্টে থাকা এপ বা গেমগুলো দেখা যাবে। 

প্লে স্টোর আপডেট

গুগল সবসময় প্লে স্টোর আপডেট করতেই থাকে। তবে সবসময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমরা আপডেট এর দেখা পাইনা। সেক্ষেত্রে আমরা চাইলে নিজেরাই প্লে স্টোর নিজেরাই আপডেট করে নিতে পারে।

প্লে স্টোর আপডেট করতে মেনু থেক সেটিংস এ প্রবেশ করুন। এরপর প্লে স্টোর ভার্সন লেখাটিতে বেশ কয়েকবার চাপ দিলেই কিছু সময়ের মধ্যে প্লে স্টোর আপডেট হয়ে যাবে।     

রেজিস্টার্ড ডিভাইস

নির্দিষ্ট একটি জিমেইল আইডি দ্বারা আপনি এযাবত কয়টি ফোনে প্লে স্টোর ব্যবহার করেছেন, খুব সহজেই তা দেখে ফেলতাম পারেন। এক্ষেত্রে আপনার কম্পিউটার থেকে প্লে স্টোরে প্রবেশ করতে হবে। এরপর সেটিংস থেকে এন্ডয়েড ডিভাইস ম্যানেজার অপশনে প্রবেশ করলেই দেখতে পাবেন উক্ত ইমেইল দ্বারা সকল কানেক্টেড ডিভাইসমূহ।   

কম্পিউটার থেকে এপ ডাউনলোড

আপনি চাইলে আপনার কম্পিউটার থেকেই যেকোনো গেম বা এপ আপনার ফোনে ডাউনলোড করতে পারবেন। এক্ষেত্রে পছন্দের এপ বা গেম এর ইনস্টল বাটনে ক্লিক করার পর আপনাকে কানেক্টেড ডিভাইসসমূহের তালিকা দেখানো হবে। ওই তালিকা থেকে নির্দিষ্ট ডিভাইস সিলেক্ট করে ইন্সটল দেয়ার পর যখন আপনি আপনার ফোন ইন্টারনেটের সাথে কানেক্ট করবেন, তখন ই আপনার পছন্দের এপটি ইন্সটল হয়ে যাবে। 

সার্চ থেকে নির্দিষ্ট রেসাল্ট বাদ দেয়া

ধরুন আপনি চান যে সার্চ করার সময় কোনো একটি নির্দিষ্ট এপ সার্চ রেসাল্টে প্রদর্শিত না হয়। সেক্ষেত্রে আপনার সার্চ এর পাশে ড্যাশ দিয়ে উক্ত এপ এর নাম যুক্ত করলেই হবে। যেমন আপনি চান Social Media লিখে সার্চ করার সময় Facebook এপটি শো হবেনা। সেক্ষেত্রে আপনি “social media -Facebook” লিখে সার্চ করবেন।

আপনার পছন্দের গুগল প্লে স্টোর টিপস বা ট্রিকস কোনটি? কমেন্ট করে জানিয়ে দিন সবাইকে।

 
emergency-balance
বিভিন্ন অপারেটরে ইমারজেন্সি ইন্টারনেট লোন নেয়ার পদ্ধতি

প্রিপেইড ব্যবহারকারীদের জন্য ইমারজেন্সি ব্যাল্যান্স এর ব্যবস্থাটি বেশ কাজের। হঠাৎ করে ফোনের ব্যাল্যান্স শেষ হয়ে গেলেও আপনাকে শেষ রক্ষা করবে এই ইমারজেন্সি ব্যালেন্স বা লোন। তবে এখনকার যুগটাই যেহেতু ইন্টারনেটের, তাই বিপদের সময় মোবাইল ডেটা শেষ হয়ে গেলে অনেকেরই হয়তো দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। আর সেই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে প্রায় সব অপারেটরই আপনাকে ইমারজেন্সি ইন্টারনেট ডেটা নেয়ার সুযোগ দিচ্ছে। পরে রিচার্জের মাধ্যমে এই ডেটা লোনের টাকা ফেরত দিয়ে দেয়া যাবে।

চলুন যেসব অপারেটর ইমারজেন্সি ইন্টারনেট নেয়ার সুবিধা দিচ্ছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত দেখে নেয়া যাক।

 গ্রামীণফোন ইমারজেন্সি ডেটা লোন

  • এক্টিভেশন কোডঃ *১২১*৩১৪১#

  • ডেটার পরিমাণঃ ৩০ এমবি

  • মেয়াদঃ ৩ দিন

  • ব্যাল্যান্স চেকঃ *১২১*১*৪#

  • পরিশোধঃ ১০ টাকা

  • যোগ্যতাঃ মূল অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স ৫ টাকার কম হলে এবং ইন্টারনেট ব্যালেন্স ৫ এমবির কম থাকলে এই লোন নিতে পারবেন

বাংলালিংক ইমারজেন্সি ইন্টারনেট ডাটা

  • এক্টিভেশন কোডঃ *৮৭৫#

  • ডেটার পরিমাণঃ গ্রাহকের ব্যবহারের উপর নির্ভরশীল। আপনার স্ট্যাটাস জানতে ডায়াল করুন *৮৭৫*০#

  • মেয়াদঃ অটো দেয়া হবে

  • ব্যাল্যান্স চেকঃ *১২৪*৫০০#

  • পরিশোধঃ প্রাপ্ত ইন্টারনেটের সমপরিমাণ অর্থ

  • যোগ্যতাঃ মূল অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স ১০ টাকা বা এর কম থাকলে। দিনে সর্বোচ্চ একবার

রবি ইমারজেন্সি ইন্টারনেট ডেটা ধার নেয়ার উপায়

  • এক্টিভেশন কোডঃ  *৮# অথবা *123*003#

  • ডেটার পরিমাণঃ গ্রাহকের খরচের উপর নির্ভরশীল

  • মেয়াদঃ অটো পাবেন 

  • ব্যাল্যান্স চেকঃ *৩#

  • পরিশোধঃ প্রাপ্ত ডেটার পরিমাণের উপর নির্ভর করবে

  • যোগ্যতাঃ ব্যালেন্স কোনো ব্যাপার না

এয়ারটেল ইমার্জেন্সি ডেটা ধার নেয়ার পদ্ধতি

  • এক্টিভেশন কোডঃ *১৪১#

  • ডেটার পরিমাণঃ ৭০ এমবি / ৩০০ এমবি

  • মেয়াদঃ ৩ দিন

  • ব্যাল্যান্স চেকঃ *১৪১# অথবা *৩# 

  • পরিশোধঃ ১৪.৪৪ টাকা / ২৫ টাকা

  • যোগ্যতাঃ ৫ টাকার নিচে থাকতে হবে

টেলিটক ইমার্জেন্সি ডেটা ব্যালেন্স

 টেলিটকে ইমারজেন্সি ইন্টারনেট ব্যালেন্স বা ডেটা লোন নেয়া যায়না।

আপনার প্রিয় Android Phone থেকে যেকোন প্রকার Delete হয়ে যাওয়া ফাইল কে খুব সহজেই 100000% Recover করে নিতে পারবেন। দেখে নিন App টি আমি প্রমিজ করতেছি App টি কাজ করবেই।

 
কিভাবে Delete হওয়া File Recover দিবেন দেখে নিন। 24banglatech
কিভাবে Delete হওয়া File Recover দিবেন দেখে নিন।

প্রথমেই নিচের লিনক থেকে Recover Apps টি নামিয়ে নিন
100% Recovery.Apk
ডাউনলোড করার সময় নিচের চিএ এর মত টিক টা তুলে দিন,

[Note : Download করতে Must Be Uc,Firefox,Chrome, বেব্যহার করবেন]


এবার উদ্বার করুন ডিলেট হয়ে যাওয়া সকল ফাইল কম্পিউটারের রিসাইকেল বিন এর মত।
আমরা অনেক সময় ভুল করে কোন ফাইল delete করে দেই, বা অন্য কেউ না জেনে কোন ফাইল delete করে দিল কিন্তু delete করার পর মনে হয় delete করা ভুল হইছে। তাই এই সমস্যা সমাধানে আজ আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম পিসির মত এমন ১টি Apps যা দিয়ে আপনি delete করা File উদ্ধার করতে পারবেন।


আপনার ডিলেট করা গান/ছবি/ভিডি দেখতে পাবেন।এবার যেটি ডিলেট করেছেন সেটি সিলেক্ট করে Restore বাটনে ক্লিক করুন তাহলে ফাইলটি যে জায়গা থেকে ডিলেট করা হয়েছে সেখানে চলে যাবে। এপ্লিকেশন টির সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি প্রয়োজনে এই এপ্লিকেশন টি লক কর রাখতে পারবেন।
Not root required… Root & Unroot Users 2 জনেই বেব্যহার করতে পারবেন।


আপনাদের কাছে কেমন লাগবে তা জানাবেন। আমি আশা রাখছি এই App টি যারা যারা Download করবেন তাদের সবারই ভাল লাগবে। মতামত Comments করে জানাবেন।

how-to-reject-incomming-call
মোবাইল অফ না করেই ইনকামিংকল আসা বন্ধ করুন বিনা খরচে !

মনে করেন আপনি কোন একটা জরুরি মিটিং এ আছেন, মোবাইল চালু রাখতে চাচ্ছেন কারণ সময় দেখা লাগতে পারে আবার প্রয়োজনে কলও করা লাগতে পারে।কিন্তু আপনি চাচ্ছেন কোন কল যেন আপনার না আসুক এবং কোন এসএমএস না আসুক এরকম একটা ব্যবস্থা করে রাখতে:এটা খুবই সহজ একটা ব্যাপার।


ইনকামিং কল বন্ধ রাখতে ডায়াল করুন *35*0000#

 ইনকামিং কল চালু করতে ডায়াল করুন #35*0000# 

এসএমএস বন্ধ রাখতে:- *35*0000*16# 

এসএমএস চালু করতে #35*0000*16# এখানে 0000 হচ্ছে পাসওয়ার্ড। এটা গ্রামীণফোনের কমন একটা পাসওয়ার্ড।


অন্য অপারেটরদের জন্য কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে জেনে নিতে হবে।


একইভাবে আউটগোয়িং কলও বন্ধ রাখা যায়:- বন্ধ করতে *33*0000# 

চালু করতে # 33*0000# 

আপনি ইচ্ছে করলে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারেন যেকোন সময়।
আর উপরের সবকিছুই করতে পারবেন টাকা খরচ না করেই।


 

বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরে ইন্টারনেট ডাটা গিফট করার পদ্ধতি

একসময় মানুষ তার প্রিয়জন বা বন্ধুবান্ধবকে বই কিংবা অন্যান্য সামগ্রী উপহার হিসেবে দিতো। যুগটাই এখন ডিজিটাল। আর এ কারণেই উপহার দেয়ার ধরনও পাল্টেছে। ইদের সালামী কিংবা ছোটখাট উপহার হিসেবে কাউকে মোবাইল রিচার্জ করে দেয়া কিংবা মোবাইল ডেটা বা টকটাইম উপহার দেয়াটা এখন খুবই স্বাভাবিক বিষয়। এই আর্টিকেলে মূলত বিভিন্ন অপারেটরে কীভাবে আপনি অন্যকে মোবাইল ডেটা উপহার দিতে পারেন সেই পদ্ধতিগুলো জানানো হবে।

শুধু উপহারই নয় বরং বিভিন্ন কারণে অন্য কাউকে অনেকসময় মোবাইল ডেটা একটিভেট করে দেয়া লাগে। আপনার বয়স্ক কোন পরিবারের সদস্য হয়তো মোবাইলে নিয়মিত ভিডিও কলে আপনার সাথে কথা বলে কিন্তু তিনি মোবাইল ডেটা একটিভেট করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে এ পদ্ধতিতে আপনি দূরে থেকেই তাকে মোবাইল ডেটা কিনে একটিভেট করে দিতে পারছেন।

গ্রামীণফোন ইন্টারনেট এমবি গিফট

গ্রামীণফোনে আপনি ফ্লেক্সিপ্ল্যান এর মাধ্যমে কাউকে চাইলে মোবাইল ডেটা বা এমবি গিফট করতে পারবেন। মাইজিপি অ্যাপ, ফ্লেক্সিপ্ল্যান অ্যাপ কিংবা গ্রামীনফোনের ওয়েবসাইটে ফ্লেক্সিপ্ল্যান এর ওয়েব অ্যাপ ব্যবহার করে এই সেবা নেয়ে যাবে।

এক্ষেত্রে আপনি অ্যাপ কিংবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফ্লেক্সিপ্ল্যান এ প্রবেশ করে ডেটার পরিমাণ ও মেয়াদ সিলেক্ট করে গিফট করতে পারবেন। তবে আপাতত তাদের কিছু নির্ধারিত পরিমাণের মাঝেই আপনাকে বাছাই করতে হবে, নিজের ইচ্ছামত পরিমাণ বাছাই করতে পারবেন না। এরপর আপনার মোবাইল নম্বর দিলে সেখানে একটি ওটিপি আসবে যেটি পরবর্তী পেইজে বসিয়ে যাকে গিফট করতে চান তার নম্বর দিলেই হয়ে যাবে। যদি মাইজিপি অ্যাপ ব্যবহার করেন তাহলে ওটিপি দেয়ার কোন ঝামেলাও থাকছে না।

লিঙ্কসমূহঃ


রবি ইন্টারনেট এমবি গিফট

আপনি রবি ব্যবহারকারী হলে খুব সহজেই ইউএসএসডি ব্যবহার করে কাউকে মোবাইল ডেটা গিফট করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে *১২১২# ডায়াল করে পর্যায়ক্রমে ইউএসএসডি মেন্যু থেকে “গিফটিং” এবং “মোবাইল ডেটা” অপশন সিলেক্ট করতে হবে। অতঃপর আপনি নির্দিষ্ট কিছু প্যাকেজ থেকে বাছাই করে কাউকে সেই ডেটা প্যাক গিফট করতে পারবেন।

এছাড়া রবি মাইপ্ল্যান অ্যাপ ব্যবহার করে গ্রামীনফোনের ফ্লেক্সিপ্ল্যান এর মতোই মাই প্ল্যান থেকে ডেটা সিলেক্ট করে সেটি কাউকে গিফট করতে পারবেন। সেজন্য মাইপ্ল্যান থেকে ডেটা সিলেক্ট করার পর “গিফট” অপশনটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে যাকে গিফট করতে চান তার নম্বরটি দিয়ে দিন।

লিঙ্কসমূহঃ



এয়ারটেল  ইন্টারনেট এমবি গিফট

বাংলাদেশে রবি এবং এয়ারটেল মূলত একই কোম্পানি হওয়াতে রবির ন্যায় এয়ারটেলেও একই পদ্ধতিতে মোবাইল ডেটা গিফট করতে পারবেন। এয়ারটেলে ইউএসএসডি ব্যবহার করে ডেটা গিফট করার জন্য আপনাকে *১২১২# ডায়াল করে পর্যায়ক্রমে ইউএসএসডি মেন্যু থেকে “মোবাইল ডেটা” অপশন সিলেক্ট করতে হবে। অতঃপর আপনি নির্দিষ্ট কিছু প্যাকেজ থেকে বাছাই করে কাউকে সেই ডেটা প্যাক গিফট করতে পারবেন।

এছাড়া রবির মত এয়ারটেল মাইপ্ল্যান অ্যাপ ব্যবহার করে মাই প্ল্যান থেকে ডেটা সিলেক্ট করে সেটি কাউকে গিফট করতে পারবেন। সেজন্য মাইপ্ল্যান থেকে ডেটা সিলেক্ট করার পর “গিফট” অপশনটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে যাকে গিফট করতে চান তার নম্বরটি দিয়ে দিন।

লিঙ্কসমূহঃ

বাংলালিংক ইন্টারনেট এমবি গিফট

বাংলালিংকে আপনি ইউএসএসডি মেন্যু ব্যবহার করে কাউকে মোবাইল ডেটা গিফট করতে পারবেন। সেজন্য *৫০০০*৫৫# ডায়াল করে নির্দিষ্ট কিছু ইন্টারনেট প্যাক থেকে বাছাই করুন। এরপর যাকে পাঠাতে চান তার নম্বর দিলেই তার কাছে ইন্টারনেট চলে যাবে।

ইন্টারনেট এমবি গিফট – সকল অপারেটর

উপরের পদ্ধতিগুলো ঝামেলার মনে হলে একটি সাধারণ পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি যেকোন অপারেটর ব্যবহারকারী কাউকে ইন্টারনেট গিফট করতে পারবেন। তবে এজন্য আপনার একটি বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে। আপনার মোবাইলে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে আপনার একাউন্টে লগইন করে মোবাইল রিচার্জ অপশনে যান। এরপর যাকে গিফট করবেন তার নম্বরটি দিন। এবার টাকার পরিবর্তে অ্যাপ থেকে কোন একটি ডেটা প্যাকেজ সিলেক্ট করে দিলেই তার মোবাইলে সেই প্যাক একটিভেট হয়ে যাবে এবং আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে চার্জ কর্তন করা হবে।

লিঙ্কসমূহঃ

আপনি কি কাউকে ইন্টারনেট গিফট করেছেন? কোন পদ্ধতিতে করেছেন?

 
bkash-app-offer-2019
bkash-app-offer-2019

বিকাশে আবারও এলো বোনাস অফার! এখন নতুন বিকাশ অ্যাপ থেকে নিজের একাউন্ট খুলুন মিনিটেই। কোথাও যেতে হবেনা। নিজে নিজেই বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন। শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই হবে।

 

অ্যাপ থেকে বিকাশ একাউন্ট খুলে প্রথম লগ ইনে পাবেন ১০০ টাকা ইনস্ট্যান্ট বোনাস! সাথে আছে আরো অ্যাপ অফার:

  • প্রথম বার ২৫ টাকা রিচার্জে ৫০ টাকা ইনস্ট্যান্ট বোনাস

  • সেন্ড মানি ও পে বিল এ কোনো চার্জ নেই

  • ক্যাশ আউট খরচ হাজারে মাত্র ১৫ টাকা 

আপনার যদি আগে থেকে বিকাশ একাউন্ট থাকে কিন্তু কখনও বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার না করে থাকেন তাহলে নতুন বিকাশ অ্যাপ ইনস্টল করে লগইন করলে আপনি পাবেন ২৫ টাকা বোনাস।

বিকাশ এর নতুন অ্যাপ ডাউনলোড করে অ্যাপ থেকে নিজের একাউন্ট খুলে বিকাশে লগ-ইন করলে নতুন গ্রাহক তাৎক্ষণিক ভাবেই প্রথমবার ১০০ টাকা বোনাস পেয়ে যাবেন তার একাউন্টে।

যাদের বিকাশ একাউন্ট আছে কিন্তু কখনও অ্যাপ ব্যবহার করেননি, তাদের জন্যও থাকছে অফার। এমন গ্রাহকরা অ্যাপ ডাউনলোড করে লগইন করলেই পেয়ে যাবেন তাৎক্ষনিক ২৫ বোনাস। 

 

বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

 

নতুন গ্রাহক অথবা প্রথমবার অ্যাপ ব্যবহারকারী নিজের অ্যাপ থেকে নিজের মোবাইলে প্রথমবার ২৫ টাকা রিচার্জ করলে পাবেন ৫০ টাকা তাৎক্ষণিক বোনাস। 

আর যারা আগে থেকেই অ্যাপ ব্যবহার করছেন এমন গ্রাহকদের জন্য অ্যাপেই রয়েছে অসংখ্য আকর্ষণীয় অফার। নির্দিষ্ট সুপারশপ থেকে ১টাকায় একটি পণ্য কেনা সহ বিভিন্ন ধরনের ক্যাশব্যাক অফারের তথ্যগুলো গ্রাহক তার অ্যাপেই পেয়ে যাবেন। 

পরবর্তী ঘোষনা না দেয়া পর্যন্ত-নতুন অ্যাপ দিয়ে টাকা পাঠালে (সেন্ড মানি) এবং বিভিন্ন সেবার বিল পরিশোধ (পে বিল)  করলে গ্রাহকের বাড়তি কোন খরচ থাকছে না। নতুন অ্যাপ দিয়ে ক্যাশআউট করলে এক হাজার টাকায় ১৫ টাকা খরচ হবে। 

 

নতুন বিকাশ অ্যাপের সুবিধা

একাউন্ট না থাকলেও বিকাশ অ্যাপ ব্যবহারের সুযোগ: যাদের বিকাশ একাউন্ট নেই কিন্তু বিকাশ অ্যাপ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তাদের জন্য নতুন বিকাশ অ্যাপে অতিথি হিসেবে (গেস্ট মোড) প্রবেশ করার সুযোগ থাকছে। গেস্ট মোডে বা অতিথি হিসেবে অ্যাপ ব্যবহার করে বিকাশের সবগুলো সেবা, অ্যাপের ফিচার সহ বিস্তারিত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পারবেন আগ্রহী ব্যাক্তি।

নিজে নিজে একাউন্ট খোলার সুযোগ: বিকাশ অ্যাপ সম্পর্কে জেনে ব্যবহারকারী যদি বিকাশ একাউন্ট খুলতে আগ্রহী হন তাহলে অ্যাপেই নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র  দিয়ে ই-কেওয়াইসি (গ্রাহকের নাম, ঠিকানা, নিবন্ধন নম্বর, মোবাইল নম্বর এর মত মৌলিক তথ্য সমৃদ্ধ ইলেকট্রনিক ফরম) এর মাধ্যমে সরাসরি নতুন একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন। অ্যাপ থেকে বিকাশ একাউন্ট খোলার আরও বিস্তারিত নিয়ম জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন।

মূল সেবাসমূহ: এতদিন বিকাশ অ্যাপে যে আইকন-গুলো ব্যবহার করেছেন গ্রাহক সেই আইকন-গুলোই থাকছে স্ক্রিনের উপরের অংশে। ক্যাশইন, ক্যাশআউট, মোবাইল রিচার্জ, মেক পেমেন্ট, অ্যাড মানি, পে বিল, মুভি টিকেট এর আইকন গুলো এখানে পাবেন গ্রাহক। 

 

বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

 

আমার বিকাশ: এই অংশটি একবারে প্রত্যেক গ্রাহকের মত করে সাজিয়ে দেয়া হবে। যে গ্রাহক যে সেবাটি বেশি ব্যবহার করেন তা সাজানো থাকবে ‘আমার বিকাশ’ অংশে। যেমন, কেউ হয়ত মাকে নিয়মিত টাকা পাঠান। তার ‘আমার বিকাশ’ অংশে থাকবে মা নামে একটি লোগো যেখানে ক্লিক করেই মাকে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন তিনি। 

সেরা অফার এবং সব অফারের তালিকা: বিকাশ-এ কি অফার চলছে তা জানাতে বিকাশ এর নতুন এই অ্যাপ স্ক্রিনে যুক্ত হয়েছে একটি ব্যানার। যেখানে বিকাশের সেরা অফারটি প্রর্দশিত হবে। ক্লিক করলে অফারটির বিস্তারিত জানার সুযোগ থাকবে। সেরা অফার ছাড়াও প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডগুলোর অফার নিয়ে স্ক্রিনে থাকছে একটি অফার অংশ। ক্লিক করলেই থাকবে বিস্তারিত জানার সুযোগ।  প্রতিটি জেলার জন্য থাকছে ভিন্ন ভিন্ন অফার। গ্রাহক যখন যেখানে অবস্থান করবেন সেখানে অ্যাপ-এ লোকেশন দিলে ঐ এলাকার অফার গুলো তার অ্যাপ স্ক্রিনে প্রর্দশিত হবে। 

সাজেশন: বিকাশের সব সেবার মধ্যে গ্রাহকের প্রয়োজনীয় সেবা সহজে খুঁজে দিতে নতুন বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হয়েছে সাজেশন। যেখানে গ্রাহকের অবস্থান, অ্যাপ ব্যবহারের ধরন, লাইফস্টাইল প্রভৃতির উপর নির্ভর করে প্রত্যেক গ্রাহকের সাজেশন বক্স ভিন্নভাবে সাজানো থাকবে। যেমন সিলেটের গ্রাহকের সাজেশন বক্সে থাকবে জালালাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানীর লোগো আবার ঢাকার গ্রাহকের জন্য হয়ত ডিপিডিসির লোগো। 

 

বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন


নেভিগেশন বার: হোমস্ক্রিনের একবারে নিচের অংশে রয়েছে নেভিগেশন বার। যেখানে হোমস্ক্রিন বাটন, কিউআর কোড বাটন এবং ইনবক্স বাটনের দেখা পাবেন গ্রাহক। যে কোন ইউন্ডো থেকে একটি ক্লিকেই মূল স্ক্রিনে ফিরে আসতে গ্রাহক এই বাটনটি ব্যবহার করতে পারবেন। 

কিউআর কোড বাটন: নতুন অ্যাপের স্ক্রিনের একদম নিচে থাকছে একটি কিউআর বাটন। যেখান থেকে সরাসরি কিউআর কোড স্ক্যান করে গ্রাহক কাক্সিক্ষত সেবার ইন্টারফেসে পৌঁছে যাবেন কয়েক ধাপ অতিক্রম করে।

ইনবক্স: গ্রাহকের লেনদেনের ধরন ভেদে বিভিন্ন সময়ে নির্দিষ্ট শ্রেণীর গ্রাহকের জন্য থাকে বিশেষ অফার। গ্রাহক তার জন্য বিশেষ এই অফারের দেখা পাবেন ইনবক্স এর প্রমোশন অংশে। আর ট্রানজেকশন অংশে তার শেষ ৫০টি ট্রানজেকশনের তালিকা পাবেন।   

বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন


তাছাড়া হোমস্ক্রিনে ট্যাপ করে ব্যালেন্স চেক করার সুযোগ, একবারে ডানদিকে বিকাশ লোগোতে ক্লিক করে লিমিট, ট্রানজেকশন, ব্যবহারকারীর তথ্য পরিবর্তন সহ আগের অপশনগুলো সবই যুক্ত হয়েছে এই অ্যাপেও। 

 

বিকাশ কি?

ব্র্যাক ব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানি ইন মোশন, বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের অর্ন্তগত ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং অ্যান্ট ফিনান্সিয়াল এর যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিকাশ, ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত পেমেন্ট সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল/ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস দিয়ে আসছে।

 আরো জানতে নিচের পোষ্টটি আপনার জন্য

 

 

 

https://services.nidw.gov.bd/login

New Update watch this video....


এই পোস্টে খুব সংক্ষেপে সহজভাবে অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার উপায় দেয়া হল। এই পদ্ধতিতে আপনি প্রভিশনাল এনআইডি পাবেন, যা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যাবে। যারা ভোটার হওয়ার জন্য ছবি তুলেছেন কিন্তু এনআইডি পাননি, তারা ভোটার নিবন্ধন ফরমের স্লিপ নম্বর ব্যবহার করে এনআইডি কার্ডের সাময়িক (প্রভিশনাল) কপি সংগ্রহ করতে পারেন। অথবা আপনি যদি এনআইডি কার্ড হারিয়ে থাকেন, কিন্তু এনআইডি নম্বরটি যদি কোথাও লেখা থাকে তাহলেও আপনি এই পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার চেষ্টা করতে পারেন। সফল হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

অনলাইনে NID ডাউনলোড করার উপায়

১। (আপনার নিকট যদি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর থেকে থাকে, তাহলে সরাসরি ২য় ধাপে যান। আর আপনি যদি এনআইডি কার্ডের জন্য ছবি তুলে থাকেন কিন্তু এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি, তাহলে এই ধাপ থেকেই শুরু করুন।) কম্পিউটার ব্রাউজারে প্রথমে এখানে যান https://services.nidw.gov.bd/voter_center এবং ভোটার নিবন্ধন ফরমের স্লিপ নম্বর, জন্ম তারিখ ও ক্যাপচা সঠিকভাবে পূরণ করে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার সংগ্রহ করুন।


NID ডাউনলোড

২। এবার নিচের ঠিকানা ভিজিট করুন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন সেবায় রেজিস্টার করুনঃ https://services.nidw.gov.bd/registration/new_registration

NID register

নোট: নির্বাচন কমিশনের উপরোক্ত সাইটে যদি রেজিস্ট্রেশন করতে না পারেন, তাহলে এই পোস্টের শেষদিকে দেয়া বিকল্প উপায় অনুসরণ করেও জাতীয় পরিয়পত্রের অনলাইন কপি (প্রভিশনাল) ডাউনলোড করতে পারবেন।

৩। রেজিস্ট্রেশন হলে লগইন করার জন্য এই লিংক ভিজিট করুনঃ https://services.nidw.gov.bd/login

NID login

এবার মোবাইলে মেসেজে একটি সিক্যুরিটি কোড আসবে। অবশ্য আপনি চাইলে ইমেইলেও কোডটি নিতে পারেন। লগইন করলে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেখতে পাবেন।

নোট: নির্বাচন কমিশনের উপরোক্ত সাইটে যদি লগইন করতে না পারেন, তাহলে এই পোস্টের শেষদিকে দেয়া বিকল্প উপায় অনুসরণ করেও জাতীয় পরিয়পত্রের অনলাইন কপি (প্রভিশনাল) ডাউনলোড করতে পারবেন।

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 3,172 other subscribers


৪। এবার জাতীয় পরিচয়পত্রের সফট কপি ডাউনলোড করতে উপরের দিকে ডানপাশে থাকা ‘পরিচয় বিবরণী’ লিঙ্কে ক্লিক করুন। আপনার এনআইডির প্রভিশনাল পিডিএফ কপি পাবেন।

nid download NID ডাউনলোড

পিডিএফ ফাইলটি প্রিন্ট করে আপনি আপাতত অন্তত কিছু কিছু ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজ চালাতে পারবেন।

বিকল্প উপায়

যদি অনলাইনে জাতীয় পরিয়পত্রের সাইটে নিবন্ধন কিংবা লগইন করতে না পারেন, তাহলে আপনার মোবাইল থেকে 105 নম্বরে কল করুন। সেখানে একজন দায়িত্বরত অফিসারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে ফোনে মেসেজের মাধ্যমে আপনার প্রভিশনাল এনআইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি ডাউনলোডের লিংক পাবেন। সেই লিঙ্কে ক্লিক করুন। আপনার এনআইডির প্রভিশনাল কপি পাবেন। সেখান থেকে ডকুমেন্টটি সেইভ করে প্রিন্ট করে নিলেই হবে।

study-newsroom
study newsroom

অনেকেই প্রশ্ন করেন ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা যায় কীভাবে? আবার কেউ কেউ জানতে চান, মোবাইলে টাকা আয় করার উপায় কী? এতদিন এই প্রশ্নের সরাসরি ও সহজ উত্তর ছিলনা। কিন্তু সম্প্রতি ফেসবুক একটি অ্যাপ চালু করেছে যেটা ব্যবহার করে মোবাইলেই অর্থ উপার্জন করা যাবে।

ফেসবুকের নতুন এই অ্যাপটির নাম হচ্ছে স্টাডি। এটি পড়াশোনা সংক্রান্ত কোনো অ্যাপ নয়। স্টাডি হচ্ছে ফেসবুকের গবেষণামূলক একটি প্রজেক্ট যা ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য নেয়ার বিনিময়ে টাকা দেবে। এই অ্যাপটি ব্যবহারকারীরা মোবাইলে ডাউনলোড ও ইনস্টল করলে কোম্পানিটি টাকা দেবে।

এই অ্যাপ ব্যবহারকারীরা ফোনে ইন্সটল করে ফেসবুককে বিভিন্ন প্রকার তথ্য দিবেন। আর এর জন্য ফেসবুক টাকা দিবে।

অবাক হচ্ছেন? তাহলে ব্যাপারটা আরো বিস্তারিত বলছি। ফেসবুকের এই স্টাডি অ্যাপটি মূলত আপনার ফোনে ইন্সটল করে আপনার স্মার্টফোন ও বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহারের ধরন সম্পর্কে তথ্য নিবে। আর সেই তথ্য ব্যবহার করে ফেসবুকের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ ও প্রযুক্তি বাজার সম্পর্কে ধারণা পাবে। এতে তারা তাদের ব্যবসাকে কোনদিকে নিয়ে গেলে সুবিধা হবে, গ্রাহকদের চাহিদা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে বাজারে নতুন প্রোডাক্ট আনতে পারবে। ফলে তাদের আয়ও বাড়বে।

তাই এই অ্যাপ ইন্সটল করিয়ে আপনার কাছ থেকে তথ্য নিতে আপনাকে তারা টাকাও দিতে পারছে। তাদের ঘোষণা করা পলিসি অনুযায়ী এটা অনেকটা “উইন-উইন সিচুয়েশন” এর মতো।

ফেসবুকের এই নতুন স্টাডি অ্যাপ এর ঘোষণা মাত্র এলেও এই কনসেপ্ট নিয়ে অন্য একটি প্রোগ্রাম এর আগেও নিয়ে এসেছিল। সেখানে তারা ইউসেজ ডেটার বিনিময়ে টিনএজারদেরকে টাকা দিত। তবে কিছু সমালোচনা ও কারিগরি জটিলতার জন্য এবছরের শুরুতে সেই প্রোগ্রাম বন্ধ করে দেয় তারা।

নতুন স্টাডি অ্যাপকে সেটারই পূনর্জীবন বলা যায়। তবে তথ্যের বিনিময়ে অর্থের কনসেপ্ট কিন্তু নতুন নয়। এমাজনের কোম্পানি সার্ভেমাঙ্কি তাদের সার্ভেতে অংশগ্রহণ করে গিফট কার্ড কিংবা ক্রেডিট অর্জন করার সুবিধা দিচ্ছে।

ফেসবুক থেকে আয় এর জন্য স্টাডি অ্যাপে আপনাকে কোনো কাজ করতে হবে না। শুধু অ্যাপটি ইন্সটল করে কিছু পারমিশন দিয়ে দিলেই আপনার কাজ শেষ।

top-freelancing-websites
top-freelancing-websites


অনলাইনে কাজ করা বর্তমানে বহুল পরিচিত একটি পেশা। দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকারের কাজ করে ঘরে বসেই হাজার হাজার ডলার আয় করা সম্ভব। বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠান আউটসোর্সিং প্রজেক্টের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের দ্বারা কাজ করিয়ে নিচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছে এয়ারবিএনবি, ড্রপবক্স প্রভৃতি। ২০১৭ সালের এক গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে তখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফ্রিল্যান্সার কমিউনিটি ছিল। অর্থাৎ, পৃথিবীতে তখন যে সংখ্যক ফ্রিল্যান্সার ছিলেন, সেই হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। প্রথম স্থানে ছিল ভারত। তৃতীয় যুক্তরাষ্ট্র। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের অধিকাংশ বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করেছেন। সেই ওয়েবসাইটগুলির ঠিকানা কী? জানতে চান?

এই পোস্টে আমরা অনলাইনে ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইটগুলোর মধ্য থেকে ৭টি ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করছি।

 

 

 

১. আপওয়ার্ক – www.upwork.com

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট কোনটি? অন্তত আমার কাছে মনে হয় উত্তরটা হবে ‘আপওয়ার্ক’। এটি প্রথমে ওডেস্ক নামে কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৫ সালে সাইটটি ওডেস্ক নাম পরিবর্তন করে আপওয়ার্ক নাম নেয়। তখন আরেকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম ‘ইল্যান্স’ আপওয়ার্কের সাথে একীভূত হয়। আপওয়ার্কে ফিক্সড এবং ঘন্টা ভিত্তিক (আওয়ারলি) রেটে কাজ পাওয়া যায়। এখান থেকে অর্থ তুলতে পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্র্যান্সফার পদ্ধতি উপলভ্য আছে।

২. ফাইভার – www.fiverr.com

ফাইভারে ৫ ডলার থেকে শুরু করে ভাল অ্যামাউন্টের প্রজেক্ট পোস্ট করা হয়। লোগো ডিজাইন, ভয়েস রেকর্ড, আর্টিকেল লেখা, প্রভৃতির জন্য ফাইভার অত্যন্ত জনপ্রিয়। বায়াররা সরাসরি ফ্রিল্যান্সার সার্চ করেও প্রজেক্ট অফার করেন এই সাইটে। ফাইভারে সবই ফিক্সড প্রাইসের প্রজেক্ট (ঘন্টাভিত্তিক কোনো জব ফাইভারে এখনও আসেনি)। ফাইভার থেকে আয়কৃত অর্থ তোলার জন্য পেপাল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্র্যান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।

৩. ফ্রিল্যান্সার ডটকম – www.freelancer.com

ফ্রিল্যান্সার ডটকম হচ্ছে একদম প্রথম সারিতে থাকা একটি অনলাইন ভিত্তিক জব মার্কেটপ্লেস, যেখানে ফিক্সড প্রাইস এবং আওয়ারলি রেটের প্রজেক্ট পাওয়া যায়। এখানে প্রচুর অনলাইন জব রয়েছে, এবং ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যাও অনেক। কোম্পানিটির হেডঅফিস অস্ট্রেলিয়ায়। ফ্রিল্যান্সার ডটকম থেকে প্রাপ্ত প্রজেক্টে কাজ করে অর্জিত অর্থ উত্তোলন করার জন্য আছে পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্র্যান্সফার সিস্টেম।

৪. পিপল পার আওয়ার – www.peopleperhour.com

লন্ডন, যুক্তরাজ্য ভিত্তিক পিপল পার আওয়ার হচ্ছে অনলাইনে আয় করার অন্যতম জনপ্রিয় সাইট। এখানে ফিক্সড প্রাইস ও আওয়ারলি রেটে প্রজেক্ট পাওয়া যায়। পিপল পার আওয়ার থেকে আয়কৃত অর্থ তোলার জন্য পেপাল, স্ক্রিল, পেওনিয়ার এবং ব্যাংক ট্র্যান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।

৫. নাইনটিনাইন ডিজাইনস – 99designs.com

আপনি যদি ফ্রিল্যান্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন, তাহলে ৯৯ডিজাইনস আপনার জন্য বেশ ভালো একটি কাজের জায়গা হতে পারে। এখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বায়াররা প্রজেক্ট অফার করেন এবং পেশাদার ডিজাইনারদের দ্বারা লোগো, ওয়েবসাইট ও অন্যান্য গ্রাফিক ডিজাইন করিয়ে নেন। ৯৯ডিজাইনস থেকে আপনার অর্জিত অর্থ তোলার জন্য পেওনিয়ার এবং পেপাল ব্যবহার করতে পারবেন। ৯৯ডিজাইনস যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্র্যানসিস্কো ভিত্তিক একটি বহুজাতিক কোম্পানি, যা অনলাইন ডিজাইনের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত।

৬. গুরু ডটকম – www.guru.com

গুরু ডটকম হচ্ছে একটি অ্যামেরিকান ফ্রিল্যান্সিং সাইট, যেখানে ফিক্সড প্রাইস এবং আওয়ারলি- উভয় প্রকারের প্রজেক্ট পাওয়া যায়। গুরু ডটকম থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য পেপাল, পেওনিয়ার ও ব্যাংক ট্র্যান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।

৭. বিল্যান্সার ডটকম – belancer.com

বিল্যান্সার হচ্ছে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন প্রকার দেশি প্রজেক্ট পাওয়া যায়। বিল্যান্সার দেশের বাইরে থেকেও ক্ল্যায়েন্ট ও ফ্রিল্যান্সার আনার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে। বিল্যান্সার ডটকমে মাইক্রো আকারের (১০০ টাকা) প্রজেক্ট থেকে শুরু করে অনেক বড় অ্যামাউন্টের প্রজেক্টও আসে। বর্তমানে এখানে শুধু ফিক্সড প্রাইসের জব আছে। আপনি চাইলে বিল্যান্সারে রেজিস্ট্রেশন করে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।

বিল্যান্সারের মাধ্যমে আয়কৃত টাকা আপনি ব্যাংক ট্র্যান্সফার, বিকাশ, অথবা সরাসরি বিল্যান্সার অফিসে গিয়ে সংগ্রহ করতে পারেন।

 

শাওমি ফোন কিংবা মিইউআই (MIUI)’কে নতুন করে চেনানোর কিছুই নেই। কম দামে দারুণ স্পেসিফিকেশন দিয়ে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে দিন দিন নিজেদের অবস্থানকে শক্ত করে চলছে শাওমি। এই চীনা টেক জায়ান্ট তাদের ফোনগুলোর দাম অন্য ব্র্যান্ডের তুলনায় কমানোর জন্য ভিন্ন ধরনের মার্কেটিং পলিসি নিয়ে কাজ করছে। এর অন্যতম উদাহরণ হলো শাওমি ফোনের ইউজার ইন্টারফেসে থার্ড পার্টি বিজ্ঞাপন।

 
How-stop-miui-phone-ads
How stop miui phone adsads

সহজ করে বলি, আপনি শাওমি ফোন ব্যবহার করার সময় এর ডিফল্ট অ্যাপগুলো থেকে অনেক সময় হয়তো বিভিন্ন অ্যাপ ইন্সটল করার কিংবা এই ধরনের অন্যান্য নোটিফিকেশন পেয়েছেন।

শুধু অ্যাপ নোটিফিকেশন-ই নয়, বরং অ্যাপ ইন্সটলার স্ক্রিন থেকে শুরু করে এমআইউআই এর ইউজার ইন্টারফেসের অনেক জায়গাতেই বিজ্ঞাপন চোখে পড়বে। এসব বিজ্ঞাপন দেখে আপনার বিরক্তি লাগলেও শাওমি এখান থেকে টাকা আয় করছে। আর এই কারণেই তারা অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে কম দামে আপনাকে ফোন দিতে পারছে।

মিইউআই ১০ এর সাথে শাওমি তাদের বিজ্ঞাপনের পরিমাণ অনেক বাড়িয়েছে। তাই অন্যদিক থেকে শাওমি অনেক বাহবা পেলেও এই বিজ্ঞাপনের জন্য অনেক গ্রাহক কিংবা টেক রিভিউয়ারদের অসন্তোষের কবলে পড়েছে শাওমি। কাজের মাঝখানে অনাকাঙ্ক্ষিত বিজ্ঞাপন কারোরই পছন্দ না। আবার অনেক ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনগুলো অশ্লীল ও কুরুচিপূর্নও হয়ে থাকে। আপনিও যদি তেমনই একজন হয়ে থাকেন যে শাওমির এই বিজ্ঞাপন আর দেখতে চাননা তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনারই জন্য।

শাওমি তাদের এসব বিজ্ঞাপন (তাদের ভাষায় “রিকমেন্ডেশন”) বন্ধ করার অপশন তাদের মিইউআই’তেই রেখেছে। তবে একদম কেন্দ্রীয়ভাবে বন্ধ করার কোনো ব্যবস্থা নেই। বরং আপনি আলাদা আলাদা অ্যাপ কিংবা আলাদা আলাদা সেকশনের জন্য আলাদাভাবে বিজ্ঞাপন বা রিকমেন্ডেশন বন্ধ করতে পারবেন। আপনাদের সুবিধার্থে সবগুলো অপশন খুঁজে বন্ধ করার উপায় একসাথে করে এখানে দিয়ে দেয়া হলো। মিইউআই ১০ চালিত সব ডিভাইসেই এই প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে পারবেন।

কীভাবে শাওমি ফোনে বিজ্ঞাপন বন্ধ করব?

শাওমি ফোনের বিভিন্ন ফাংশনে দেখানো অ্যাড বন্ধ করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

  • প্রথমেই এমএসএ অ্যাপ এর অথোরাইজেশন বাতিলঃ মিইউআই সিস্টেম এডস নামক একটি হিডেন অ্যাপ আছে যা এর ইউজার ইন্টারফেসে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। আপনি প্রথমেই Settings > Additional Settings > Authorization and Revocation অপশনে গিয়ে msa অ্যাপটির অথোরাইজেশন অফ করে দিবেন।

  • এডভারটাইজিং আইডেন্টিফায়ার বন্ধঃ Settings > Additional Settings > Privacy > User Experience Program অপশনে গিয়ে টগল বাটনটি চেপে এটি বন্ধ করে দিবেন। তাহলে এটি আর এডভারটাইজমেন্ট প্রদর্শনের অন্য আপনার ইউসেজ ডেটা সংগ্রহ করবে না।

  • ইন্সটলার বা স্ক্যানার এর এড বন্ধঃ এর জন্য আপনি গুগল প্লে বা ফোন স্টোরেজ থেকে যে কোন একটি অ্যাপ ইন্সটল করুন। ইন্টারনেট অন থাকলে দেখতে পাবেন অ্যাপটির ভাইরাস স্ক্যান করার স্ক্রিনে বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে। এখান থেকে উপরের দিকে থাকা গিয়ার আইকনে ক্লিক করে “রিসিভ রেকমেন্ডেশন” অপশনটি বন্ধ করে দিলে এখানে আর বিজ্ঞাপন দেখাবে না।

  • ইন্সটল করা অ্যাপ রেকমেন্ডেশন বন্ধঃ এজন্য Settings > Installed Apps এ গিয়ে উপরে থাকা থ্রি ডট মেন্যু আইকনে ক্লিক করে সেটিংস এ যান। তারপর রেকমেন্ডেশন অপশন বন্ধ করে দিন।

  • অ্যাপ লকারের বিজ্ঞাপন বন্ধঃ এজন্য Settings > App Lock এ গিয়ে গিয়ার আইকনে ট্যাপ করে সেটিংস এ প্রবেশ করুন। তারপর “Recommendations” অপশন বন্ধ করে দিন।

  • ফাইল ম্যানেজারের বিজ্ঞাপন বন্ধঃ এর জন্য আপনাকে ফাইল ম্যানেজারে ঢুকে Settings > About এ যেতে হবে এবং তারপর রেকমেন্ডেশন বন্ধ করে দিতে হবে।

  • সিকিউরিটি অ্যাপ এর বিজ্ঞাপন বন্ধঃ প্রথমেই অ্যাপ এ ঢুকে সেটিংস এ গিয়ে “Receive Recommendations” বন্ধ করে দিন। তারপর একই অ্যাপে Settings > Cleaner এবং Settings > Boost Speed অপশনে গিয়েও রেকমেন্ডেশন বন্ধ করে দিবেন।

  • মি ব্রাউজার এর বিজ্ঞাপন বন্ধঃ এই অ্যাপ এর বিজ্ঞাপনগুলো সবচেয়ে বিরক্তিকর হয়ে থাকে। এটা বন্ধ করতে অ্যাপের Settings > Privacy & Security সেকশনে গিয়ে “Personalized Services” অপশন বন্ধ করে ফেলুন।

  • ডাউনলোডার এর বিজ্ঞাপন বন্ধ করতেঃ অ্যাপে ঢুকে থ্রি ডট মেন্যু তে গিয়ে “Show Recommended Content” অপশনটি একেবারে বন্ধ করে রেখে দিন।

  • থিমস অ্যাপ এর বিজ্ঞাপন বন্ধ করতেঃ এজন্য থিমস অ্যাপে ঢুকে একাউন্ট অপশনে গিয়ে সেটিংস এ ঢুকুন। তারপর সেখান থেকে রেকমেন্ডেশন বন্ধ করে দিন।

  • মি মিউজিক অ্যাপ এর বিজ্ঞাপনঃ মিউজিক প্লেয়ারে ঢুকে ন্যাভিগেশন মেন্যুতে যান। তারপর Settings > Advanced Settings এ গিয়ে “Receive Recommendations“ বন্ধ করে ফেলুন।

  • মি ভিডিও অ্যাপ এর বিজ্ঞাপনঃ এজন্য Account > Settings থেকে “Online Recommendations” অপশনটি বন্ধ করে দিন। সেই সাথে “Push Notifications“  অপশনটিও বন্ধ করে রাখতে পারেন।

আশা করি এই পোস্টটি আপনার কাজে আসবে। আপনি যদি আরও কিছু টিপস জেনে থাকেন, কিংবা অন্য কিছু জানতে চান, তাহলে কমেন্টে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।

 

gmail-offline

গত বছর গুগল তাদের জিমেইলের ওয়েব ভার্সনে নতুন ফিচার আপডেট ও টুইকস এর পাশাপাশি এতে ব্র্যান্ড নিউ অফলাইন মোড ফিচার চালু করেছে। এই জিমেইল অফলাইন ফিচার ব্যবহার করে আপনি চাইলে ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়াই আপনার পিসি ব্রাউজারে জিমেইলের বিভিন্ন সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।

জিমেইলের এই অফলাইন মোড শুধুমাত্র কম্পিউটারে গুগল ক্রোম ব্রাউজারেই কাজ করবে। তাই অন্য কোনো ব্রাউজার ব্যবহারকারী হলে এই অফলাইন ফিচার ব্যবহার করার জন্য আপনাকে প্রথমেই গুগল ক্রোম ইন্সটল করে নিতে হবে।

 

তো, জিমেইলে লগইন করে উপরের দিকে ডানপাশে গিয়ার আইকনটিতে ক্লিক করুন। মেন্যু থেকে সেটিংস পেইজে প্রবেশ করুন। এখন সেটিংস পেইজটির হেডার অংশের একদম ডানদিকে থাকা অফলাইন ট্যাবে যান। অথবা পিসিতে (ক্রোমে) জিমেইলে লগইন করে সরাসরি এই লিংক ভিজিট করুনঃ https://mail.google.com/mail/u/0/#settings/offline

 

সেখান থেকে আপনি অফলাইন মোডকে কাস্টমাইজ করে নিচে সেইভ চেঞ্জেস বাটন চাপলেই অফলাইন মোড অন হয়ে যাবে।

অফলাইন মোড কাস্টমাইজেশনের ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন আপশন পাবেন। যেমনঃ সর্বশেষ কতদিন পর্যন্ত আপনার ইনবক্স সিঙ্ক করা হবে তা নির্ধারন করে দিতে পারবেন। পাশাপাশি মেসেজগুলো কি এটাচমেন্ট সহ নাকি এটাচমেন্ট ছাড়া ডাউনলোড হবে সেটাও আপনি বাছাই করে দিতে পারেন।

gmail-offline

 

যেহেতু এক্ষেত্রে আপনার পিসির হার্ড্ড্রাইভে মেসেজ ও এটাচমেন্টগুলো ডাউনলোড হবে তাই আপনি স্টোরেজ বাঁচাতে চাইলে সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের ইমেইল স্টোর করাই যুক্তিযুক্ত হবে।

এখানে আপনি সিকিউরিটি রিলেটেড একটা অপশনও পাবেন। আপনি যদি আপনার একাউন্ট থেকে লগআউট করেন তাহলে এটি কি আপনার পিসিতে ডাউনলোড করা ডেটা মুছে ফেলবে নাকি রেখে দিবে সেটা নির্ধারন করার ক্ষমতাও আপনার হাতেই থাকছে।

 

অফলাইন সেটআপ হয়ে গেলে ইন্টারনেট ছাড়া জিমেইল ব্যবহার করার জন্য কম্পিউটারের গুগল ক্রোম ব্রাউজারে mail.google.com লিংক ভিজিট করুন। এই লিংকটি বুকমার্ক করে রাখলে ভালো হয়।

অফলাইন অবস্থায় আপনি নতুন ইমেইল রিসিভ করতে পারবেন না। তবে সেন্ড করতে চাইলে ইমেইল লিখে সেন্ড অপশন বাছাই করলে সেটি আউটবক্সে জমা হবে, এবং নেট সংযোগ পেলে তখন মেইলটি ডেলিভারি হবে।

জিমেইল অফলাইন ফিচার বন্ধ করতে চাইলে প্রথমেই আপনি আপনার জিমেইল সেটিংস (https://mail.google.com/#settings/offline) থেকে এটি বন্ধ (আনচেক) করুন। এরপর ক্রোম ব্রাউজারের সেটিংস থেকে “অল কুকিজ অ্যান্ড সাইট ডেটা” রিমুভ করে দিন।

 

সব মিলিয়ে জিমেইলের এই অফলাইন ফিচার খুব কাজে দিবে আশা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে যারা ব্যবসায়িক বা অফিশিয়াল কাজে লম্বা ভ্রমণ করেন তারা চাইলে চলতি পথে প্রয়োজনীয় ইমেইল লেখা ও ইনবক্স চেক করার বিষয়টা ইন্টারনেট ছাড়াই মিটিয়ে ফেলতে পারবেন।

আর হ্যাঁ, মোবাইলে জিমেইল অ্যাপে সেটিংস থেকে ইমেইল সিঙ্ক্রোনাইজ চালু করে রাখলে সেগুলোও ইন্টারনেট ছাড়া এক্সেস করতে পারবেন।

 

আপনি কি জিমেইল অফলাইন মোড ব্যবহার করেছেন?

আপনি যদি স্মার্টফোন কিনতে চান, তবে বাজারের প্রচুর পরিমাণ স্মার্টফোনের ভীড়ে আপনি অবশ্যই নিজেকে গুলিয়ে ফেলবেন। কারণ এখন প্রতিটি স্মার্টফোনে এমন নতুন নতুন বিষয় সংযুক্ত হচ্ছে যেগুলোর কারণে কোনটাকে বাদ দিয়ে কোনটা কিনবেন তা নিরূপণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।

আপনি যদি স্মার্টফোন কিনতে চান, তবে বাজারের প্রচুর পরিমাণ স্মার্টফোনের ভীড়ে আপনি অবশ্যই নিজেকে গুলিয়ে ফেলবেন। কারণ এখন প্রতিটি স্মার্টফোনে এমন নতুন নতুন বিষয় সংযুক্ত হচ্ছে যেগুলোর কারণে কোনটাকে বাদ দিয়ে কোনটা কিনবেন তা নিরূপণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।

২০১৯ সালে এসে স্মার্টফোন কোন বিলাসিতা কিংবা আয়েশের বস্তু নয় বরং এটা আপনার ডিজিটাল লাইফের জন্য অত্যাবশ্যক এক যন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকের আবার এখন নতুন স্মার্টফোন কেনা কিংবা দুই দিন পর পর স্মার্টফোন বদলানোটা শখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা কিন্তু এক না। অধিকাংশ ব্যবহারকারীই নতুন স্মার্টফোন কেনার আগে বাজেট, ফিচার, স্থায়িত্ব ও অন্যান্য বিষয় চিন্তা করে থাকেন।

একটি স্মার্টফোন অনেকগুলো যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি। সব সার্ভিস বা ফিচার আপনার পক্ষে চেক করা সম্ভব না। কিন্তু এই পোস্টে দেয়া বিষয়গুলো নতুন স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে না দেখলেই নয়। একটি ভালো স্মার্টফোন কেনার সময় যে সকল বিষয় খেয়াল করতে হয় তা নিম্নে আলোচিত হল।

 

দাম ও বাজেট

সবার আগে যেটি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হলো ফোনের জন্য আপনার বাজেট। স্মার্টফোন কিনতে আপনি কত টাকা খরচ করতে চান এবং সেই দামের মধ্যে কোন স্মার্টফোনটিতে সবচেয়ে বেশি ফিচার পাচ্ছেন সেটাই হবে আপনার জন্য বেস্ট ডিল। কারন আপনার বাজেট কম হলে হয়তো একটা স্মার্টফোনে লেটেস্ট সব টেকনোলজি কিংবা সব ফিচার পাবেননা, আর এটাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে একটু বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করে আপনার বাজেটে কোন কোম্পানির কোন মডেলটি সবচেয়ে ভালো জিনিস দিচ্ছে সেটা নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

তবে আপনার বাজেট লিমিটেশন না থাকলে ভালো কোনো কোম্পানির লেটেস্ট ফ্ল্যাগশিপ মডেলটাই নেয়া উচিত। সেক্ষেত্রে আপনার চয়েজ করাও অনেকটা সহজ আর লেটেস্ট সব টেকনোলজিও পাচ্ছেন। আর সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ফ্ল্যাগশিপগুলো থাকায় আপনি ভালো  সাপোর্টও পাবেন।

আপনি যদি স্মার্টফোন কিনতে চান, তবে বাজারের প্রচুর পরিমাণ স্মার্টফোনের ভীড়ে আপনি অবশ্যই নিজেকে গুলিয়ে ফেলবেন। কারণ এখন প্রতিটি স্মার্টফোনে এমন নতুন নতুন বিষয় সংযুক্ত হচ্ছে যেগুলোর কারণে কোনটাকে বাদ দিয়ে কোনটা কিনবেন তা নিরূপণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।

 সর্বপ্রথম আপনার বাজেট নির্ধারণ করুন

অপারেটিং সিস্টেম

স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে অপারেটিং সিস্টেম বাছাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ন। কারণ আপনার ফোনের সফটওয়্যার রিলেটেড সকল এক্সপেরিয়েন্স এই অপারেটিং সিস্টেমের উপরই নির্ভর করবে। বর্তমানে ব্যবহারকারী সংখ্যা বিচারে এন্ড্রয়েড ওএস চালিত স্মার্টফোনের পরিমাণই সবচেয়ে বেশি। গুগলের তৈরি এই অপারেটিং সিস্টেমটি অনেক ফ্লেক্সিবল ও ফ্রি হওয়াতে ছোট বড় সব কোম্পানিই এই ওএস ব্যবহার করে। আধুনিক সব ফিচারই এতে আছে আর প্রায় সকল মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপারই এন্ড্রয়েডের জন্য তাদের অ্যাপ তৈরি করে।

অ্যাপলের আইওএস ও খুবই জনপ্রিয় এবং ফিচারবহুল। এর অ্যাপ স্টোরও অনেক সমৃদ্ধ। তবে অ্যাপলের ডিভাইসগুলোর দাম তুলনামূলক বেশি হওয়াতে সব শ্রেণির মানুষ এগুলো ব্যবহারের সুযোগ পায়না। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে। যেমনঃ মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ (বিলুপ্ত), সেইলফিশ ওএস, ফায়ারফক্স ওএস (বিলুপ্ত) ইত্যাদি। তবে প্রয়োজনীয় ডেভেলপার এনগেজমেন্ট না থাকায় এন্ড্রয়েড ও আইওএস ব্যতীত অন্য কোনো অপারেটিং সিস্টেমের ফোন এখন না কেনাটাই যুক্তিযুক্ত।

স্মার্টফোন প্রসেসর

সিস্টেম অন চিপ বা প্রচলিত সহজ কথায় সিপিইউ। এটি স্মার্টফোনের ব্রেইন। এর মাঝেই ইন্টিগ্রেটেড থাকে আপনার স্মার্টফোনের প্রসেসর, গ্রাফিক প্রসেসর,  ক্যাশ ও বিভিন্ন ওয়্যারলেস মডিউল। এটাকে চিপসেট আবার অনেকে শুধু প্রসেসর বলেন। তো বুঝতেই পারছেন এর গুরুত্ব কতখানি। আপনার স্মার্টফোনের সব ডেটা প্রসেসরই প্রসেস করে দেয়। আর এখনকার স্মার্টফোনগুলো শুধু কল কিংবা ব্রাউজিং করার মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়।

তাই স্মার্টফোনের ডেটা দ্রুত প্রসেস করার জন্য আপনার চাই শক্তিশালী একটি প্রসেসর। আপনি নিশ্চয়ই কোনো একটি অ্যাপ এর আইকনে ট্যাপ করে সেটা ওপেন হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে চাইবেন না! প্রসেসরের ভালো মন্দ নির্ভর করে প্রসেসরের ক্লক স্পিড, এর কোর সংখ্যা ও সাথে  আরো কয়েকটি বিষয়ের উপর। বিভিন্ন কোম্পানি স্মার্টফোনের জন্য চিপসেট তৈরি করে। যেমনঃ ইন্টেল, কোয়ালকম, স্যামসাং, হুয়াওয়ে, অ্যাপল, মিডিয়াটেক ইত্যাদি।

আপনি যদি স্মার্টফোন কিনতে চান, তবে বাজারের প্রচুর পরিমাণ স্মার্টফোনের ভীড়ে আপনি অবশ্যই নিজেকে গুলিয়ে ফেলবেন। কারণ এখন প্রতিটি স্মার্টফোনে এমন নতুন নতুন বিষয় সংযুক্ত হচ্ছে যেগুলোর কারণে কোনটাকে বাদ দিয়ে কোনটা কিনবেন তা নিরূপণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
প্রসেসর স্পিড, ব্যাটারি ইফিশিয়েন্সি খুবই গুরুত্বপূর্ণ

মোবাইলের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী বিচারে মিডিয়াটেক এগিয়ে থাকলেও পারফরমেন্স বিচারে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন সিরিজের চিপসেটই সবচেয়ে জনপ্রিয়। স্ন্যাপড্রাগন এর ব্যাটারি ব্যাকআপও তুলনামূলক ভালো। এছাড়া স্যামসাং এর এক্সিনস, হুয়াওয়ে এর কিরিন ও বেশ ভালো প্রতিযোগিতা করছে। আর অ্যাপল তাদের ফোনে নিজেদের শক্তিশালী প্রসেসর ইউজ করে। তাই আপনি যদি আপনার মোবাইলে রেগুলার মাল্টিটাস্কিং বা গেমিং করেন তাহলে ভালো একটি চিপসেট সম্বলিত মোবাইল অবশ্যই কিনবেন। সাথে কোন মডেলের জিপিইউ রয়েছে সেটাও দেখে নিবেন।

র‍্যাম

আগেই বলে রাখছি- ফোন, পিসি বা এরকম ইলেকট্রনিকস ডিভাইসে মেমোরি দুই ধরনের। একটা হচ্ছে রম ও আরেকটা হচ্ছে র‍্যাম। র‍্যাম হল অস্থায়ী মেমোরি যাতে প্রসেসর ডেটাগুলোকে অস্থায়ীভাবে জমা রাখে। তাই র‍্যামের পরিমাণ সাধারণত রম বা স্টোরেজের চেয়ে অনেক কম হয়। র‍্যাম যত বেশি হবে আপনার ফোনও তত স্মুদলি চলার সম্ভাবনা বেশি হবে। পাশাপাশি ব্যাকগ্রাউন্ডেও আপনি অনেক অ্যাপ চালু রাখতে পারবেন।

স্টোরেজ বা রম

অপরদিকে রম বা স্টোরেজের কথা বিবেচনা করলে ভাবতে হবে, এখানে আপনার অপারেটিং সিস্টেম ও অ্যাপস থাকবে এবং এর বাকি অংশ আপনার ইন্টারনাল স্টোরেজ হিসেবে ব্যবহৃত হবে যাতে আপনি অ্যাপ, ছবি, ভিডিও, ফাইল ইত্যাদি রাখতে পারবেন। এটা আপনার প্রয়োজনমত নিতে পারেন। তবে ১৬ জিবির কম স্টোরেজের ফোন না নেয়াই ভাল এবং ফ্ল্যাগশিপগুলোতে আপনি আজকাল ২৫৬ জিবি বা আরও বেশি স্টোরেজ পাচ্ছেন। যেসব ফোনে মাইক্রোএসডি বা মেমরি কার্ড স্লট আছে সেসব ফোন কিনলে আপনাকে স্টোরেজ নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।

ডিসপ্লে

স্মার্টফোনগুলোতে সব ইন্টার‍্যাকশন মূলত এর স্ক্রিন দিয়েই হয়। তাই এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্মার্টফোনের স্ক্রিন আজকাল  পাঁচ থেকে সাড়ে ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত ‘কমন’ ধরা হয়। আপনি এক হাতে ফোন ইউজ করতে চাইলে সাড়ে পাঁচ ইঞ্চির উপরে না যাওয়াই ভালো। বেশি রেজ্যুলেশনের ডিসপ্লেতে কন্টেন্ট বেশি স্পষ্ট ও ঝকঝকে দেখায়। তাই কমপক্ষে এইচডি রেজ্যুলেশনের ডিসপ্লে নেয়া ভালো। আজকাল ভাল মানের ফোনগুলোতে ফুল এইচডি থেকে শুরু করে ৪কে রেজ্যুলেশনের ডিসপ্লেও পাওয়া যায়। স্ক্রিনের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাতও বিবেচ্য বিষয়।

আধুনিক স্মার্টফোনের ডিসপ্লের এস্পেক্ট রেশিও ১৮:৯ কিংবা ১৮.৫:৯ হয় যা আগের ১৬:৯ এস্পেক্ট রেশিওর ফোনের চেয়ে বেশি চিকন। ফলে হাতে ধরতেও সহজ আবার দেখতেও সুন্দর লাগে। আপনার ফোনের প্যানেলটি কি এলসিডি, ওলেড নাকি এমোলেড সেটিও দেখতে পারেন। কারণ একেক প্রযুক্তির ডিসপ্লেতে একেক ধরনের ফিচার রয়েছে। এলসিডি স্ক্রিনের ফোনের দাম এমোলেড কিংবা ওলেড স্ক্রিনের চেয়ে তুলনামূলক কম। ফোন কেনার আগে দোকানের স্যাম্পল ডিভাইসে অবশ্যই স্ক্রিন কোয়ালিটি দেখে নিবেন।

ক্যামেরা

মধ্যবিত্তের ডিএসএলআর বা মিররলেস ক্যামেরার স্বপ্ন পূরণ করছে স্মার্টফোন ক্যামেরা। স্মার্টফোনের ক্যামেরাগুলো আজকাল ভালোই উন্নতি করেছে। একসময় স্মার্টফোনের সামনে একটা ও পিছনে আরেকটা ক্যামেরা থাকলেও আজকাল শুধু পিছনেই ২ থেকে ৩ টি ক্যামেরা (নকিয়া ৯ ফোনে তো ৫টি ব্যাক ক্যামেরা) চোখে পড়ে। স্মার্টফোনের ক্যামেরার রেজ্যুলেশন যত বেশি বা মেগাপিক্সেল যত বেশি হবে স্মার্টফোনে তোলা ছবি তত বড় ডিসপ্লেতে দেখতে সুবিধা তত বেশি। তবে মেগাপিক্সেলই সবকিছু নয়।


আপনি যদি স্মার্টফোন কিনতে চান, তবে বাজারের প্রচুর পরিমাণ স্মার্টফোনের ভীড়ে আপনি অবশ্যই নিজেকে গুলিয়ে ফেলবেন। কারণ এখন প্রতিটি স্মার্টফোনে এমন নতুন নতুন বিষয় সংযুক্ত হচ্ছে যেগুলোর কারণে কোনটাকে বাদ দিয়ে কোনটা কিনবেন তা নিরূপণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।

ক্যামেরার অ্যাপারচার কিংবা আইএসও সেন্সিটিভিটি এর কথাও মাথায় রাখতে হবে। বড় এপারচার এর ক্যামেরা ফোন কিনলে সেটি বেশি আলো গ্রহণ করতে পারবে ফলে কম আলোতেও ভালো ছবি তুলতে পারবে। পিক্সেল সাইজ যাতে বড় থাকে সেটাও একই কারণে লক্ষণীয়। ভিডিওর ক্ষেত্রে আপনার মেইন ক্যামেরা যেন অন্তত ৩০ ফ্রেমস/সেকেন্ড রেটে ১০৮০পি রেজুলেশনে ভিডিও করতে পারে সেটা খেয়াল রাখবেন। আর ৪কে রেজুলেশনের ভিডিও করতে পারলেতো সেটা খুবই ভালো। অনেক স্মার্টফোনে ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন ফিচার থাকে বলে ভিডিও কাঁপেনা। এই ফিচারটি ও আছে কিনা দেখে নিতে পারেন।

ব্যাটারি

স্মার্টফোন যেহেতু একটি কানেক্টেড ডিভাইস তাই সকলেই চান যে তাদের ফোনটা সারাক্ষণ নেটওয়ার্কের মাঝে থাকুক। কিন্তু স্মার্টফোনের ক্যাপাবিলিটি যেমন বেড়েছে সেই তুলনায় এর ব্যাটারি ব্যাকআপ টাইম খুব বেশি বাড়েনি। তাই বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারিওয়ালা স্মার্টফোন কেনা উচিত। আজকাল ৩০০০ মিলিএম্পিয়ার/আওয়ার (mAh) এর কম মানের ব্যাটারির ফোন না নেয়াই উচিত।

আপনি যদি স্মার্টফোন কিনতে চান, তবে বাজারের প্রচুর পরিমাণ স্মার্টফোনের ভীড়ে আপনি অবশ্যই নিজেকে গুলিয়ে ফেলবেন। কারণ এখন প্রতিটি স্মার্টফোনে এমন নতুন নতুন বিষয় সংযুক্ত হচ্ছে যেগুলোর কারণে কোনটাকে বাদ দিয়ে কোনটা কিনবেন তা নিরূপণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।

৪০০০ মিলিএম্প এর ব্যাটারিতে আপনি নরমাল থেকে হেভি ব্যবহারে প্রায় ১ দিনের মত ব্যাটারি ব্যাকআপ পাবেন। তবে কিছু কিছু ফোনে আরো বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারিও পাওয়া যায়। পাশাপাশি দ্রুত ফোন চার্জ হওয়ার জন্য আপনার ফোনটি কুইক চার্জ সাপোর্ট করে কি না সেটিও দেখা উচিত। অবশ্য, ব্যাটারির ধারণক্ষমতার পাশাপাশি ফোনের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কতটা বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে তার ওপরও ব্যাকআপ টাইম অনেকাংশে নির্ভর করে। গত বছর আসুস উন্মোচন করেছিল জেনফোন ম্যাক্স প্রো এম১ স্মার্টফোন, যাতে রয়েছে ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি!

স্মার্টফোনের বাজারে এখন বিভিন্ন দামের ও কনফিগারেশনের স্মার্টফোন পাওয়া যায়। একটি স্মার্টফোনের দাম নির্ভর করবে স্মার্টফোনটির কনফিগারেশনের উপর। তবে দামের ক্ষেত্রে ক্রেতাই ভালো বলতে পারবেন যে কোন স্মার্টফোনটি তার জন্য সবচেয়ে ভালো। শাওমি (Xiaomi), হুয়াওয়ে, অপো, আসুস এবং ওয়ানপ্লাস মধ্যম দামে অসাধারণ সব স্মার্টফোন দিচ্ছে। অবশ্য, “ভ্যালু ফর মানি” বলেও একটা কথা আছে। বেশি বাজেট হলে আপনি স্যামসাং গ্যালাক্সি, গুগল পিক্সেল কিংবা অ্যাপল আইফোন কিনতে পারেন।


 

Popular Posts

Blog Archive