আপনি যদি স্মার্টফোন কিনতে চান, তবে বাজারের প্রচুর পরিমাণ স্মার্টফোনের ভীড়ে আপনি অবশ্যই নিজেকে গুলিয়ে ফেলবেন। কারণ এখন প্রতিটি স্মার্টফোনে এমন নতুন নতুন বিষয় সংযুক্ত হচ্ছে যেগুলোর কারণে কোনটাকে বাদ দিয়ে কোনটা কিনবেন তা নিরূপণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
২০১৯ সালে এসে স্মার্টফোন কোন বিলাসিতা কিংবা আয়েশের বস্তু নয় বরং এটা আপনার ডিজিটাল লাইফের জন্য অত্যাবশ্যক এক যন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকের আবার এখন নতুন স্মার্টফোন কেনা কিংবা দুই দিন পর পর স্মার্টফোন বদলানোটা শখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা কিন্তু এক না। অধিকাংশ ব্যবহারকারীই নতুন স্মার্টফোন কেনার আগে বাজেট, ফিচার, স্থায়িত্ব ও অন্যান্য বিষয় চিন্তা করে থাকেন।
একটি স্মার্টফোন অনেকগুলো যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি। সব সার্ভিস বা ফিচার আপনার পক্ষে চেক করা সম্ভব না। কিন্তু এই পোস্টে দেয়া বিষয়গুলো নতুন স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে না দেখলেই নয়। একটি ভালো স্মার্টফোন কেনার সময় যে সকল বিষয় খেয়াল করতে হয় তা নিম্নে আলোচিত হল।
দাম ও বাজেট
সবার আগে যেটি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হলো ফোনের জন্য আপনার বাজেট। স্মার্টফোন কিনতে আপনি কত টাকা খরচ করতে চান এবং সেই দামের মধ্যে কোন স্মার্টফোনটিতে সবচেয়ে বেশি ফিচার পাচ্ছেন সেটাই হবে আপনার জন্য বেস্ট ডিল। কারন আপনার বাজেট কম হলে হয়তো একটা স্মার্টফোনে লেটেস্ট সব টেকনোলজি কিংবা সব ফিচার পাবেননা, আর এটাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে একটু বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করে আপনার বাজেটে কোন কোম্পানির কোন মডেলটি সবচেয়ে ভালো জিনিস দিচ্ছে সেটা নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
তবে আপনার বাজেট লিমিটেশন না থাকলে ভালো কোনো কোম্পানির লেটেস্ট ফ্ল্যাগশিপ মডেলটাই নেয়া উচিত। সেক্ষেত্রে আপনার চয়েজ করাও অনেকটা সহজ আর লেটেস্ট সব টেকনোলজিও পাচ্ছেন। আর সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ফ্ল্যাগশিপগুলো থাকায় আপনি ভালো সাপোর্টও পাবেন।
সর্বপ্রথম আপনার বাজেট নির্ধারণ করুন |
অপারেটিং সিস্টেম
স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে অপারেটিং সিস্টেম বাছাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ন। কারণ আপনার ফোনের সফটওয়্যার রিলেটেড সকল এক্সপেরিয়েন্স এই অপারেটিং সিস্টেমের উপরই নির্ভর করবে। বর্তমানে ব্যবহারকারী সংখ্যা বিচারে এন্ড্রয়েড ওএস চালিত স্মার্টফোনের পরিমাণই সবচেয়ে বেশি। গুগলের তৈরি এই অপারেটিং সিস্টেমটি অনেক ফ্লেক্সিবল ও ফ্রি হওয়াতে ছোট বড় সব কোম্পানিই এই ওএস ব্যবহার করে। আধুনিক সব ফিচারই এতে আছে আর প্রায় সকল মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপারই এন্ড্রয়েডের জন্য তাদের অ্যাপ তৈরি করে।
অ্যাপলের আইওএস ও খুবই জনপ্রিয় এবং ফিচারবহুল। এর অ্যাপ স্টোরও অনেক সমৃদ্ধ। তবে অ্যাপলের ডিভাইসগুলোর দাম তুলনামূলক বেশি হওয়াতে সব শ্রেণির মানুষ এগুলো ব্যবহারের সুযোগ পায়না। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে। যেমনঃ মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ (বিলুপ্ত), সেইলফিশ ওএস, ফায়ারফক্স ওএস (বিলুপ্ত) ইত্যাদি। তবে প্রয়োজনীয় ডেভেলপার এনগেজমেন্ট না থাকায় এন্ড্রয়েড ও আইওএস ব্যতীত অন্য কোনো অপারেটিং সিস্টেমের ফোন এখন না কেনাটাই যুক্তিযুক্ত।
স্মার্টফোন প্রসেসর
সিস্টেম অন চিপ বা প্রচলিত সহজ কথায় সিপিইউ। এটি স্মার্টফোনের ব্রেইন। এর মাঝেই ইন্টিগ্রেটেড থাকে আপনার স্মার্টফোনের প্রসেসর, গ্রাফিক প্রসেসর, ক্যাশ ও বিভিন্ন ওয়্যারলেস মডিউল। এটাকে চিপসেট আবার অনেকে শুধু প্রসেসর বলেন। তো বুঝতেই পারছেন এর গুরুত্ব কতখানি। আপনার স্মার্টফোনের সব ডেটা প্রসেসরই প্রসেস করে দেয়। আর এখনকার স্মার্টফোনগুলো শুধু কল কিংবা ব্রাউজিং করার মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়।
তাই স্মার্টফোনের ডেটা দ্রুত প্রসেস করার জন্য আপনার চাই শক্তিশালী একটি প্রসেসর। আপনি নিশ্চয়ই কোনো একটি অ্যাপ এর আইকনে ট্যাপ করে সেটা ওপেন হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে চাইবেন না! প্রসেসরের ভালো মন্দ নির্ভর করে প্রসেসরের ক্লক স্পিড, এর কোর সংখ্যা ও সাথে আরো কয়েকটি বিষয়ের উপর। বিভিন্ন কোম্পানি স্মার্টফোনের জন্য চিপসেট তৈরি করে। যেমনঃ ইন্টেল, কোয়ালকম, স্যামসাং, হুয়াওয়ে, অ্যাপল, মিডিয়াটেক ইত্যাদি।
প্রসেসর স্পিড, ব্যাটারি ইফিশিয়েন্সি খুবই গুরুত্বপূর্ণ |
Helpful post
উত্তরমুছুন